‘আফগানিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’
অনলাইন ডেস্ক : গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে টিআইবি বলছে, আফগানিস্তানের চেয়েও পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। সরকার তা স্বীকার করে না। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। কর্মীদের পাওনা পরিশোধে অনিহা, কর্মীদের অধিকার সংরক্ষিত না, ক্ষেত্র বিশেষে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
আর বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে। সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সুবিধা নেয়ার কারণে এই বিভাজন আরো প্রকট হচ্ছে। দরকার পেশাজীবী সংগঠন।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত এসডিজি-১৬ ও সুশাসন, সরকার গণমাধ্যম ও জনগণ শীর্ষক আলোচনায় সাবেক সিইসি একথা বলেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। টিআইবি পরিচালক রিজওয়ান উল আলম। টিআইবির ট্রাষ্ট্রি ও সাবেক চেয়ারম্যান ড. এটিএম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আবছান চৌধুরী, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জ.ই মামুন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিক নৈতিক মানদণ্ড অনুরণ করে না। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সর্বদা জনস্বার্থে পরিচালিত হয় নাকি বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করে সে বিতর্ক এখন জনমনে প্রবল হয়ে উঠেছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সার্বিকভাবে গণমাধ্যমেরর মানের অবনতি হয়েছে। গণমাধ্যমেরর স্বাধীনতা শুধুমাত্র সাংবাদিকের প্রতিবেদন লেখা বা মন্তব্য করার স্বাধীনতা নয়।
প্রতিবেদন বলছে, আফগানিস্তানের চেয়েও পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। সরকার তা স্বিকার করে না। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। কর্মীদের পাওনা পরিশোধে অনিহা, কর্মীদের অধিকার সংরক্ষিত নয়, ক্ষেত্র বিশেষে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
আবছান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের একতা হবে না। পুঁজির চরিত্রে যেমন হেফাজত ও আওয়ামী লীগ একত্রিত হয়েছে, ঠিক তেমন হবে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে এখন নির্ভীক সাংবাদিকতা করা কঠিন।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, প্রেস কাউন্সিলের আইনের মাঝে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। এসব সংশোধনে কারো কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে। সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সুবিধা নেয়ার কারণে এই বিভাজন আরো প্রকট হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানিক মিয়াদের মতন নির্ভক সাংবাদিকতা এখন সম্ভব না। আগে জেল বরন করতে হতো। এখন গুম করা হচ্ছে।
জ.ই মামুন বলেন, গণমাধ্যমে এখনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা ঠিক। আমাদেরকে সরকারি ও রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতারর মধ্যে থেকেই সঠিক সাংবাদিকতা করতে হবে। অনেকে করেও যাচ্ছে।
ড. শামসুল হুদা বলেন, বাংলাদেশে পেশাদারিত্ব গড়ে ওঠেনি। কারণ তারা রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে পারছে না। সরকারকে উপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই। সরকার থাকবেই। সরকারকে কার্যকর করতে কাঠামো সঠিক করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো আজও দুর্বল রয়েছে।