g গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গরম তেলের পাত্রে অটোবাকের চালক ! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গরম তেলের পাত্রে অটোবাকের চালক !

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৩০, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের প্রতাবগন্জ বাজারের বাবু মার্কেটের মূল সড়কের পাশে থাকা একটি মিষ্টি ও পুরী-সিঙ্গারার দোকানে গত মঙ্গলবার বিকেলে সিঙ্গারা তৈরীর জন্য বড় কড়াইতে ফুটন্ত তেলের মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোবাইক তুলে দিলে বাইকের চালক গুরুতর আহত হয়েছে।সাথে সিঙ্গারা তৈরীরত পাচক সামন্ত সাহা নামে এক তরুন গরম তেল ছিটকে পড়ায় সামান্য আহত হয়।ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়োন সৃষ্টি করে।

কথা বলতে গেলে দোকানের মালিক সুজন ঘোষ জানায়,বিকেল ৫টা নাগাদ পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ঝগড়ার চর গ্রামের অটোবাইক চালক তার খালি গাড়ি নিয়ে ঐ ভাজাপুরীর দোকানের সামনে সরু জায়গায় ঘুড়ানোর সময় আকষ্মিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক ফারুক মিয়া সিঙ্গারা ভাজার জন্য প্রস্তুত প্রায় ৫ লিটার ফুটন্ত তেলের মাঝে পড়ে যায়।এতে পাত্রের গরম তেল চালকের সারা শরীওে লেগে গেলে তিনি যন্ত্রণায় ছটফটাতে থাকলেও শত-শত পথচারী আহত চালক ফারুককে নিয়ে রঙ্গব্যাঙ্গ ও সমালোচনা করতে থাকে।নিজের দোষেই নিজে কুপোকাত এমন মন্তব্য করলেও জবাই করা পশুর ন্যায় ছটফটাতে থাকলেও পুলিশী ঝামেলা বা ঝুটঝামেলা এড়াতে প্রায় আধঘন্টা কেউই চালক ফারুককে চিকিৎ]সার জন্য এগিয়ে আসেনি বলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পথচারী মহানুভতা দেখিয়ে গরম তেলের ছাঁচে পুড়ে যাওয়া ও কোথাও কোথাও গরম তেলের প্রভাবে মাংস ভেদ করে শরীরের হাড় দেখতে পেয়ে চালক ফারুককে বাঞ্ছারামপুর সদর হাসপাতালে রিক্সায় করে নিয়ে যান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক মহানুভ ব্যক্তি।ঐ মহানুভব ব্যাক্তি বিষয়টি জানান বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এলাকায় দরিদ্রজনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপক জনপ্রয়ি আলহাজ্ব মো.নুরুল ইসলামকে।ঘটনাক্রমে তিনি ঐ সময় (বিকেল সাড়ে ৫টায়)উপজেলা উন্নয়নকল্পের একটি সরকারি সমন্ধয় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদ চত্বরে।পরে,খোজ নিয়ে জানা গেছে,সভা চলাকালে এই বাঞ্ছারামপুর এলাকাবাসীর কাছে মানবিক গুনাবলীখ্যাত জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধি কাল বিলম্ব না করে সভাত্যাগ করে তড়িঘড়ি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শওকত ওসমান ও এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলমকে সাথে নিয়ে আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম অটোবাইক চালককে এক নজর দেখার জন্য সরকারি হাসপাতালের ছুটে আসেন।বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতলের ওয়ার্ডে দেখতে গিয়ে হতদরিদ্র দরিদ্র চালক ফারুকের স্বজনদেও সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলে চিকিৎসার খোজ খবর নেন ও হাসপাতল কর্তৃপক্ষকে আহত চালকের সুচিকিৎসাসহ যথাযথ তদারকি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। জানা গেছে উপজেলা চেয়ারম্যান দূর্ঘটনায় আহত চালকের সার্বিক দেখভালের বিষয়ে পরিবারকে নিশ্চিত করেন।
বুধবার সকাল থেকে গতকাল পর্যন্ত বিষয়টি লোকমুখে এলাকায় জানাজানি হতে থাকলে এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের দরিদ্র চালকের প্রতি সহমর্মিতার অনুভূতি ব্যাপক ভাবে ইতিবাচকভাবে আলোচিত হতে থাকে।বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে তারা জানান,-‘নি:অহংকারী,প্রচারবিমূখ আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের মতো যদি সারা দেশে এমন মানবিক ব্যক্তি যদি থাকতো ! ‘যারা ভোটের আগে ও পরে প্রকৃতার্থে গরীবের বন্ধু’।

 

এ জাতীয় আরও খবর