বৃহস্পতিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১৪ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মেসির এমন উদ্‌যাপনের কারণ

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ২৫, ২০১৭

স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ বাঁশি বাজার ১৩ সেকেন্ড আগে সার্জি রবার্তোর সেই দৌড়। সেটারই পূর্ণতা এল মেসির দারুণ এক গোলে। জয়সূচক গোলটা করেই পিচের এক কোনায় চলে গেলেন, হলুদ কার্ড পাবেন জেনেও জার্সিটা খুলে বার্নাব্যুকে দেখিয়ে দিলেন জার্সিতে লেখা নামটি, মেসি! ব্যস, শুরু হলো নতুন ঝড়—এভাবে উদ্‌যাপন করলেন কেন মেসি?

প্রশ্নটা তো করেই খালাস হয়ে যাচ্ছেন সবাই। কিন্তু উত্তরটা খুঁজতে একটু পেছনে যেতে হচ্ছে। খুব বেশি না, বুধবার রাত পর্যন্ত গেলেই চলছে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে কোনো গোলই করতে পারেনি বার্সেলোনা আক্রমণভাগ। প্রশ্নাতীতভাবেই সবচেয়ে বড় দায়টা এসেছিল মেসির ঘাড়ে। এমনকি কথাও উঠে গিয়েছিল, সেরা সময় কি পেছনে ফেলে এসেছেন মেসি! ইতালিয়ান কোচ মার্সেলো লিপ্পির মত অবশ্য পুরোপুরি ভিন্ন, ‘বার্সেলোনার যে ম্যাচেরই ফল দেখতে যাই, তখনই মেসির একটা গোল কিংবা অ্যাসিস্ট দেখি।’ ইতালিকে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচের মতে দায়টা বার্সেলোনা দলের, ‘আমার মনে হয় না ওর মান কমেছে। মান তো কমেছে দলের বাকিদের।’

এ মৌসুমে মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে দলের অন্যদের তুলনা করলে লিপ্পির কথাটাই সত্যি মানতে হবে। পুরো মৌসুমেই লিগে মেসি কিংবা সুয়ারেজ দলকে টেনে নিয়েছেন। সুয়ারেজের চেয়ে মেসির অবদানই সেখানে অনেক বেশি। ‘এল ক্লাসিকো’র আগেই ৪৫ গোল করে ফেলেছিলেন। তবু ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মেসিকে রক্ষা করতে হলো লুইস এনরিকেকে, ‘পুরো বার্সেলোনাকেই সামর্থ্যের পুরোটা দেখাতে হবে। শুধু মেসির ওপর নজর দেওয়া ঠিক হবে না।’
কিন্তু এতেও কি মানুষকে চুপ করানো যায়। মাঠেই সেটার জবাব দিয়েছেন মেসি। মার্সেলোর কনুই লেগে মুখ রক্তাক্ত হয়েছে। টিস্যু ঠোঁটের ফাঁকে গুঁজেই গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। তাঁর ড্রিবলিংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে লাল কার্ড দেখেছেন সার্জিও রামোস। আর যখনই মনে হচ্ছিল, সমতায় শেষ হচ্ছে এল ক্লাসিকো, তখনই মেসি-ঝলক। বার্নাব্যু আরও একবার দেখল মেসিকে। মেসিও বার্নাব্যুকে মনে করিয়ে দিলেন, তিনি কে! জার্সিতে লেখা ওই নাম ও ‘১০’ সংখ্যাটা বার্নাব্যু যেন ভুলে না যায় সেটা নিশ্চিত করে দিলেন মেসি। ম্যাচ শেষে এনরিকের কথাটা তাই একটুও বাড়াবাড়ি মনে হয়নি, ‘সে ঘরে বসে খেতে বসার সময়ও ম্যাচ বদলে দিতে পারে। সে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।’
একটা হলুদ কার্ডে কি যায় আসে!