ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত শান্তির পথে বাধা: ব্রাজিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ব্রাজিল সরকার। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। ব্রাজিলের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ব্রিটিশ প্রেস মনিটরিং সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বসতিগুলো অবৈধ এবং তা দ্বৈত-রাষ্ট্র সমাধান নীতি ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে অন্তরায়।’
সম্প্রতি রামাল্লাহর নিকটবর্তী ইমেক শিলো নামক এলাকায় নতুন বসতি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। ৩০ মার্চ ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। ইসরায়েলি সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড কেড়ে নেওয়ার ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তার মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক বলেন,‘মহাসচিব এই ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একে হুমকি বলেও মনে করেন তিনি। মহাসচিব প্রতিনিয়ত বলে আসছেন, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে বসবাসের জন্য এর কোনও বিকল্প নেই।’
উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে ৬ লাখেরও ইসরায়েলি বসবাস করে।আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না। এবার ইমেক শিলো এলাকায় নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।