সাফল্যের গল্প : মুঁড়ি বানিয়ে জমি-বাড়ি কিনলো বাঞ্ছারামপুরের এক দম্পত্তি
---
ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর : জামাল উদ্দিন মিয়া ও সাফিয়া বেগম।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের ষাটোর্ধ এক পৌঢ় দম্পত্তি।সংসারে ৪ মেয়ে।৪ মেয়েকেই ভালো ঘড়ে বিয়ে দিয়ে এখন দুখী মানুষ আর সমাজের সেবা করে দিন পার করছেন।বাড়ি বানিয়েছেন,জমি কিনেছেন।আর এসব সবই সম্ভব করেছেন কেবল দারিদ্রভরা সেই কৈশোর বয়স থেকে মুড়ি বানিয়ে।সেই মুঁড়ি বাজারে সচরাচর পাওয়া যাওয়া ক্যামিকেলযুক্ত নয়।কালিকাপুরের এলাকাবাসীসহ জামালউদ্দিন দম্পত্তি থেকে নিয়মিত পাইকারদের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর চকবাজারের খুচরা মুড়ি মুড়ি বিক্রেতা চন্দর দেব,আশিষ সাহা,সাহাবুদ্দিন জানায়,-ওনার (জামাল)মুড়ির যশ ভিন্নমাত্রিক।তাদের হাতের মুড়ি কিনতে ক্রেতারা আসে দুর-দূরান্ত থেকে।স্বাধ ও গন্ধে জামালউদ্দিন দম্পত্তির মুড়ি অনন্য।
জামাল উদ্দিন দম্পত্তি জানায়,আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে এখনো প্রতিদিন ২/৩জনসহকারি নিয়ে ২০কেজির মতো মুড়ি বানাতে পারি।তাতে খরচ বাদ দিয়ে ভালোই আয় হয়।আমাদের মুড়ি কিনতে নারায়নগনজ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসে।
কারন,বাজারে প্রচলিত মুড়িতে ক্যমিকেল থাকায় স্বাস্থ্যঝুকি থাকে।আমি একেবারে ক্যমিকেলমুক্ত মুড়ি বানাই।
সাফিয়া খাতুন জানান,আমাদের হাতের তৈরী মুড়ি বানিয়ে জমি কিনেছি,মেয়েদের বিয়ে দিয়ে এখন সুখেই তো আছি।সংসারে কোন অভাব নেই। এক সময় আমাদের কোনকিছুই ছিল না। জানা গেছে,ক্যামিকেলমুক্ত মুড়ি হাতের মুড়ি বানিয়ে এই দম্পত্তি মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করছেন।সাথে কুঁড়িয়েছেন খ্যাতি।