g বাঞ্ছারামপুরের মাদকবিক্রি ও সেবনকারীরা ব্যবহার করছে ফেসবুক (মেসেঞ্জার),ইমু ,ভাইবার | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৭শে জুলাই, ২০১৭ ইং ১২ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরের মাদকবিক্রি ও সেবনকারীরা ব্যবহার করছে ফেসবুক (মেসেঞ্জার),ইমু ,ভাইবার

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭

---

বিশেষ প্রতিনিধি ,বাঞ্ছারামপুর থেকে ফিরে : বাঞ্ছারামপুরে এখন ইন্টারনেট ভিক্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক(মেসেঞ্জার), ইমু,ভাইবার,হোয়াট্এ্যাপে ইয়াবা বেচা-কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের  চোখঁকে ফাঁকি দিতে এই অভিন্ন কৌশল বেছে নিয়েছে (খোররা)মাদকসেবীরা।

জানুয়ারী মাস থেকে  জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান( পিপিএম) এর নির্দেশে জেলার সবকটি উপজেলার মত বাঞ্ছারামপুর থানার মাদক বিরোধী বিভিন্ন সাড়াশী অভিযানের ফলে  এলাকার যুবসমাজ ও সাধারণ মাদকাসক্ত বেশ বেকায়দায় ফেলার এখন তারা নতুন ভাবে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে  তথ্য প্রযুক্তির পথ বেচেঁ  নিয়েছে বলে স্হানীয় সুত্রে জানা গেছে।

ইয়াবা বিক্রেতা ও সেবনকারী একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “গত এক মাসে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা যে পাইকারীহারে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপর ধড়্পাকর শুরু করেছে তাতে ফেসবুক(মেসেঞ্জার), ইমু,ভাইবার,হোয়াট্এ্যাপে ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নাই। তারা জানান স্মার্ট ফোনে মাদকের অর্ডার  ও তা পৌছানোর জন্য রিক্সা,সিএনজি,অটোবাইক,শিশু সহ অপরিচিত ব্যাক্তি দ্বারা কাঙ্গীত  ঠিকানায় ফোনের ইনবক্সে চাহিদা অর্ডার পাওয়া মাত্র সেই মাদক পৌছে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ধারণা উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দেওয়া সহজ। এই নিয়ে নতুন করে হতাশা দেখা দিয়েছে অভিভাবক।
অভিভাবক দের দাবী,যে কোনো মূল্যে ইন্টারনেটভিত্তিক মাদকবেচাকেনা বন্ধ না করলে ছেলেমেয়েদের ভবিৎষত অন্বকার।
নির্ভয়যোগ্য সূএে  জানা যায় ,বাঞ্ছারামপুর টু ঢাকা কড়িতোলার ফেরীঘাট,মরিচাকান্দি লঞ্চঘাট ও কসবা-আখাউড়াসহ চট্রগ্রাম থেকে  ইয়াবা এলাকায় আনছে মাদক সম্রাটখ্যাত বাবুর্চী খলিল,আইয়ূবপুর ইউপির দূর্গাপুর গ্রামেরর  মোশারফ এর ছেলে আবুল মিয়া।মূলত সিন্ডিকেট  বির্তিক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২১টি গ্রামের চিহ্নিত প্রায় ৭০/৮০টি  স্পটে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দিনে -রাতে মাদক পৌছে দিচ্ছে।বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি অংশু কুমারদেব জানান,পুলিশ এখন  পাওয়া মাএই মাদকসেবী দের ধরছে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে ।

তারা যত ক্ষমতা ধরই  হোকনা  কোন ছাড় নেই।জানা গেছে,শুধু একমাসে ১০ জন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা,১৫জন সেবনকারী গ্রেফতার সহ ১৫ লাখ টাকার মাদক আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন ইন্টারনেটে বেচা-কেনার প্রমান পেলে অবস্যই গ্রেফতার করা হবে। বাবুর্চি খলিল এখনো ইন্টারনেট সবচেয়ে বেশি  মাদক বেচা-কেনা করছেন ।  আবুল ও  মিনোয়ারা কে গ্রেফতার করলেই মাদক বেচাকেনা অনেকটাই কমে যাবে বলে  দাবি এলাকার সচেতন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজনের।

এ জাতীয় আরও খবর