পাঁচ বছরের শিশুর মাসিক আয় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার!(ভিডিওসহ)
বয়স তো মোটে ৫। স্বভাবতই খেলা আর খেলা। এর থেকে আর কী বা করবে ওইটুকু বাচ্চার। তাবে ছোট্ট রায়ানের ঘরটা কিন্তু বেশ সুন্দর। চারপাশে শুধুই রকমারি খেলনা। নানান ধরলেন গাড়ি, খেলনা দিয়ে বানানো বাড়ি গাড়ি আরও কত কী। সেসব দেখলে যেকোনও ছোট বাচ্চারই লোভ হবে। তাই রায়ানও বাদ যায় না। ওই সমস্ত নানান খেলনা দিয়ে সে তো শুধুই খেলে?
নানা ভুল বললাম। শুধু খেলে না রায়ান, সে রোজগারও করে। তাও আবার প্রতি মাসে ১ মিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে বললে, ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের কাছাকাছি। তাজ্জব হচ্ছেন! কিন্তু বিষয়টি সত্যি।
ইন্টারনেটে রায়ানের ভিডিও তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। আর সেটাই ছোট্টো রায়ানের রোজগারের মাধ্যম। তবে রায়ানের ওই রোজগারে হাত রয়েছে তার বাবা-মার। ছোট্টো রায়ান সারাদিন শুধু খেলে। আর সেই ভিডিওই ইন্টারনেটে ছাড়েন তার বাবা-মা। ব্যাস কেল্লাফতে।
রায়ানের সাইটের নাম ’রায়ান টয়েজ রিভিউ’ । এই চ্যানেলে ১০ মিনিটের এক একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, যে ভিডিওগুলির মুখ্য আকর্ষণ হচ্ছে খুদে রায়ান। রায়ান টয়েজ রিভিউ বর্তমানে ইউটিউবে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় । আর গোটা বিশ্বে তার জনপ্রিয়তা দু’নম্বরে।
শুধু তাই ওয়, এই চ্যানেলের ভিডিওগুলি প্রতি মাসে যে পরিমাণ দর্শক আকর্ষণ করে, তার বিজ্ঞাপন মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে মাসে ৬.৮ কোটি টাকার মতো রোজগার করে ওই চ্যানেলটি। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করে রায়ান টয়েজ রিভিউ। রায়ানের বয়স তখন মাত্র ৩ ।
প্রথমেই যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছে চ্য়ানেলটি তেমন কিন্তু নয়। তবে মাস চারেকের আগে ১০০টি খেলনা সমেত রায়ানকে সারপ্রাইজ দেওয়ার মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করে ইন্টারনেটে আপলোড করেন রায়ানের মা । সেই ভিডিও গগনচু্ম্বী জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে এই ভিডিও ইউটিউবে ৫৭ কোটি বারেরও বেশি দেখা হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটি পাবলিশ হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে রায়ান টয়েজ রিভিউয়ের গ্রাহকের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় এই চ্যানেলের জনপ্রিয়তাও।