নাসরিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি : সানি
বিয়েসংক্রান্ত জটিলতায় কারাবন্দি ক্রিকেটার আরাফাত সানি বলেছেন, স্ত্রী দাবি করা নাসরিন সুলতানার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি।
আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বাইরে এনটিভি অনলাইনের কাছে এমন দাবি করেন সানি।
সানির সঙ্গে মিরপুরে প্রিন্স প্লাজাতে বিয়ে হয়েছিল বলে দাবি করেন নাসরিন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সানি দাবি করেন, মিরপুরে প্রিন্স প্লাজাতে বিয়ের বিষয়ে তিনি জানেন না।
ভবিষ্যতে কী হবে জানতে চাইলে সানি কাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘যা কপালে আছে, তা-ই হবে।’
সানি বলেন, ‘না ভাই, আমার নাসরিনের সঙ্গে বিয়ে হয়নি। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো আপসও হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল নিউজ করছে, যার কোনো সত্যতা নেই।’
‘গতকাল আমার সঙ্গে নাকি নাসরিনের কারাগারে দেখা হয়েছিল, এমন ধরনের নিউজ কিছু পত্রিকায় এসেছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য। আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি’, যোগ করেন সানি।
কারাগারে কেমন আছেন জানতে চাইলে সানি বলেন, এ বিষয়ে পরে জানাবেন।
আজ বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে দুপুর ২টায় সানির জামিন শুনানির কথা রয়েছে। এ জন্য দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ২২ জানুয়ারি ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে নাসরিনের দায়ের করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই তাঁকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান।
মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা দুজন ভাড়া বাসায় সংসার শুরু করেন। সংসার চলার সময় ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি তাঁর মায়ের পরামর্শে নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তাঁর স্ত্রীকে মারধর ও গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান।
নথিতে আরো উল্লেখ করা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন বাদী নাসরিন সুলতানা ভাড়া বাসাসহ যাবতীয় ভরণপোষণ না পেয়ে নিরূপায় হয়ে সংসার করতে স্বামী সানির সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সানি যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবি করে নাসরিনকে বলেন, ‘যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি অনেক খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইল ফোনে রয়েছে।’ এরপর বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর।’ এরপর বাদী তাঁর বাসায় চলে যান।