ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল ষ্টেশনে অন্য রকম দৌরাত্ম্য টিকেট কালোবাজারির
---
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল ষ্টেশন টিকেট কালোবাজারি দের দৌরাত্ম্য চরমে। নানা কৌশলে চলছে এখানে দালালদের টিকেট বেচা-কেনা। অনেকটা দখল করে রেখেছে বেঈয়ানি ভাবে ষ্টেশন এলাকার বিক্রি করা টিকেট মাঠ। বেশ কিছুদিন আগে সদর থানার সাড়াঁশি অভিযানে অনেকটাই কমে এসেছিল টিকেট কালোবাজারি তৎপরতা। ধরা হয়েছিল বেশ কয়েকজন টিকেট কালোবাজারি কে। কিন্তু আইনের ফাঁক ঝোকরে তারা আবার ঠিকই বেরিয়ে এসে তাদের পুরানো পেশায় মন-নিবেশ করছেন।অধিক লাভবান এই ব্যবসা হওয়া তারা এই পথ থেকে ধাক্কা খেয়ে ও আবারও অতি সহজে ফিরে আসে এই পথে। টিকেট কালোবাজারিরা ঢাকা-গ্রামী যেন কোন আন্তনগর ট্রেনের টিকেট ১৩০টাকার টিকেট ২৫০/৩০০টাকায় বিক্রি করে, ৭৫টাকার টিকেট বিক্রি করে ২০০টাকার উপরে। চট্রগ্রাম-গ্রামী আন্তনগর ট্রেনের ২৩০টাকার টিকেট বিক্রি করছে ৪০০/৪৫০টাকায়।তাদের কাছ থেকে নেওয়া যে কোন টিকেট দেখা যায় দশ দিন থেকে একসপ্তাহ আগে তারিখে কাটা।টিকেট গুলো কাউন্টার থেকে কে দিচ্ছে তাদের হাতে এই রকম প্রশ্ন অনেক ভুক্তভোগী যাএীদের। তাই সাত দিন আগে গিয়ে প্রায়ই সময় পাওয়া যায় না ঢাকা-চট্রগ্রামের কোন আন্তনগর টিকেট ষ্টেশন কাউন্টারে। নির্ভয়যোগ্য সূএে জানা যায় যে, ষ্টেশনের কাউন্টারে টিকেট দেওয়ার দায়িত্বে যারা সরকারি ভাবে নিয়োজিত তাদের মার্ধমে কালোবাজারি হাতে টিকেট পৌছেঁ যায় সু-কৌশলে। এতে করে তারা প্রতি ২০/৩০টাকা কমিশন পেয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার একশ্রেণীর দামী সার্ট প্যান্ট পরা নামী-দামী চৌকস কালোবাজারি রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে তারা বেশ কয়েকটি আন্তনগর ট্রেনের ঢাকা-গ্রামী যাওয়া যাএী এরকম দশ/বার জন ব্যবস্হা করে রাখেন অনেকটাই-কৌশলে। কেবিনের ৩৩০টাকার ভাড়া অগ্রীম নিয়ে ট্রেনে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের হাতে উঠিয়ে দেন। জানা গেছে নরসিংদি ষ্টেশন থাকা অপর কালোবাজারি সিন্ডিকেট নরসিংদী থেকে ঢাকা পর্যন্ত স্ট্রেনডিং টিকেট কেটে ট্রেনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তাদের হাতে পৌছেঁ দেন তাদেন জন্য। তখন এই টিকেট চলে যান ৩৩০টাকায় নেওয়া যাএীদের কাছে। এতে অনায়াসে যাএীরা বিমানবন্দর -কমলাপুর ষ্টেশন চেকিং পার হয়ে যাই। প্রায় তিন থেকে পাচঁটি ট্রেনে এই কৌশল অবলম্বন করেন কালোবাজারি আর দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেনের ভিতর কর্তারা। কালোবাজারি দের সকল কৌশল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের সহযোগিতায়। তাদের সহযোগিতা অনেকের কাছে জানা। আসলে রক্ষণ যেন এক্ষেএে অনেকটা ভক্ষক। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাএীরা কালোবাজারিদের এই অপ-দৌরাত্ন্য থেকে রেহায় পেতে চায়। ষ্টেশনটি যেন ঘুরে ফিরে চর দখলের মত করে রেখেছে তারা। ষ্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ কি করছেন তাদের নাকের ডগায়তো হচ্ছে সবকিছু!
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে( জিআরপি)থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর সাওার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা টিকেট কালোবাজারিদের ষ্টেশনের ভিতর পেলেই ধরছি, মামলা দিচ্ছি একের পর এক। আমাদের অভিযান সবসময় অব্যাহত আছে।