বেসিক ভদ্রতাগুলো সকলেরই জেনে রাখা ভাল
লাইফস্টাইল ডেস্ক :এমনিতে আমরা সকলেই বেশ স্মার্ট, শিক্ষিত, টিপটপ। নিজেদের পরিরাটি রাখতে, আদপ-কায়দা বজায় রাখতে ভালই জানি। কিন্তু বেশ কিছু বেসিক ভদ্রতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। যেই ছোটখাট অভ্যাসগুলোই ফারাক গড়ে দেয়। জেনে নিন এমনই কিছু ছোটখাট ভদ্রতা।
মিটিং বা কোনও জরুরি কাজে গেলে ফোন সাইলেন্ট মোডে পকেটে বা ব্যাগে রাখুন। টেবলেও রাখবেন না।
যদি ক্লাসে বা কোনও কনফারেন্সে দেরি করে পৌঁছন তাহলে চেষ্টা করুন সাবধানে ঢুকে পিছনের দিকে কোনও সিটে বসতে। অন্যদের বিরক্ত করবেন না।
আপনার দেরি হয়ে গিয়েছে, অফিস মিটিংয়ে ৩০ মিনিট দেরি করে পৌঁছবেন, কিন্ত জানালেন সেটা মিটিংয়ের মাত্র ২০ মিনিট আগে এমনটা করবেন না। এটা অভদ্রতা। মিটিং শুরু হওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা জানিয়ে দিন আপনার দেরি হচ্ছে।
নিজের ব্যক্তিগত কথা ফোন বা টেক্সট মেসেজেই সীমাবদ্ধ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত কথা পোস্ট করবেন না।
রাস্তাঘাটে যে কোনও জায়গায় হুটহাট করে ছবি তুলে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে পোস্ট করে দেবেন না।
যার ছবি তুলছেন ও পোস্ট করছেন তাঁর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন।
কখনও কারও জন্য চেয়ার টেনে দেবেন না। কারণ আপনি জানেন না কোন মানুষটির বসতে ঠিক কতটা জায়গা প্রয়োজন।
অনেকেই এটাকে ভদ্রতা মনে করলেও এটা খুব একটা ভাল অভ্যাসের মধ্যে পড়ে না।
রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে নিজের ব্যাগ খাওয়ার টেবলে বা চেয়ারে রাখবেন না। হাতলে ঝুলিয়ে রাখুন বা মাটিতে নামিয়ে রাখুন।
ডিনার ন্যাপকিন কিন্তু টিস্যু নয়। তাই নোংরা মোছার কাজে ব্যবহার করবেন না, হাতে নিয়ে চলেও আসবেন না রেস্তোরাঁ থেকে।
যখন কেউ আপনাকে কোনও বড় টেক্সট মেসেজ পাঠাবেন, গুছিয়ে কোনও কিছু লিখে তখন কোনও দায়সারা ছোট উত্তর দিয়ে ছেড়ে দেবেন না। এতে আপনি প্রেরককে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
যদি আপনি কোথাও নিমন্ত্রিত হন ও আরএসভিপি হয় তাহলে সেখানে যাওয়া আপনার কর্তব্য। এই ধরনের নিমন্ত্রণ এড়িয়ে যাওয়া মানে আপনি হোস্টকে উপেক্ষা করছেন।
যখন কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন বা কেউ আপনাকে বাড়িটে ডাকবেন তখন খালি হাতে না গিয়ে যিনি নিমন্ত্রণ করেছেন তার জন্য কিছু নিয়ে যান। কোনও খাবার, মিষ্টি বা ওয়াইনের বোতল নিয়ে যান।
বাস, ট্রাম, ট্রনের মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ফোনে কথা বলবেন না। বললেও আস্তে কথা বলুন। জোরে কথা বলবেন না।
অনেকের মধ্যে থাকলে যদি ফোনে গান শুনতে হয় তাহলে আগে দেখে নিন ইয়ারফোন ভাল করে লাগানো হয়েছে কিনা।
হঠাত্ করে যেন জোরে গান না বেজে ওঠে।
ফ্লাইট ধরার সময় বা প্লেনে উঠে নিজের মালপত্র রেখে আইল আটকে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ বসে পড়ুন গুছিয়ে বা রাস্তা ছেড়ে দিন পিছনের লোকজনের জন্য।
রাস্তায় হাঁটার সময় ডান পাশ ধরে হাঁটুন। এতে উল্টোদিন থেকে যারা আসবেন সহজেই বাঁ দিক বুঝতে পারবেন।
যদি কাউকে হঠাত্ করেই ফোন করেন তাহলে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে নিন কথা বলার জন্য সেটা সঠিক সময় কিনা। উনি ফ্রি আছেন কিনা।
যদি কোনও কারণে ভয়েস মেল পাঠাতে হয় কাউকে তাহলে অবশ্যই বক্তব্যের আগে নিজের পরিচয় দিন।
কারও সঙ্গে প্রথম আলাপে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিন। এটা ভদ্রতা।
ক্যাশিয়ার, ফাস্ট ফুড ওয়ার্কার, ওয়েটারদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। কখনই ওদের উপর রাগ দেখাবেন না, নিজের কাজের টেনসনের কারণে ওদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।
কখনও কারও পিছনে তাঁকে নিয়ে কথা বলবেন না বা হাসাহাসি করবেন না। এই অভ্যাসে পড়া যতটা সহজ, অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা ততটাই কঠিন। এতে অন্যদের চোখে নিজে ছোট হয়ে যাবেন।
রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে বিল বা সিনেমা দেখার টিকিটের টাকা অন্য কেউ দেবে সেই অপেক্ষায় থাকবেন না। নিজে দিন। যদি কেউ নাও দিতে দেন অন্তত প্রস্তাব দিন।
যদি দেখেন কারও দাঁতে খাবার লেগে রয়েছে, চশমার কাচ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে বা জুতোয় টয়লেট পেপার লেগে রয়েছে তাহলে তাঁকে সরাসরি জানান। যদি আপনি নাও চেনেন তাঁকে।
যদি কেউ আপনাকে চিউইং গাম বা অফার করেন তাহলে ফিরিয়ে দেবেন না। নিয়ে নিন। হয়তো আপনার প্রয়োজন রয়েছে।
ফাইন ডাইন রেস্তোরাঁয় গিয়ে টিপ না দেওয়া কিন্তু অভদ্রতা। তাই আগে থেকই দেখে নিন আপনার কাছে টিপ দেওয়ার টাকা আছে কিনা। যদি না থাকে, তাহলে সার্ভিস ছাড়া কোথাও গিয়ে খাবার খান।
আপনি হয়তো পোষ্য খুবই ভালবাসেন। কিন্তু তা বলে কারও পোষ্য দেখলেই আদর করতে বা খেলতে শুরু করে দেবেন না।
অনেকেই এটা অপছন্দ করতে পারেন। আগে জিজ্ঞেস করে নিন, তারপর খেলবেন।