মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকের স্বাক্ষর নিয়ে নানা কৌশল
---
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে আজ শেষ হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি’র মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকের স্বাক্ষর নিয়ে নানা কৌশল তৈরি হয়েছে।
রোববার দিনভর এই নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রস্তাবক ওসমান গণি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের সামনে নিজের স্বাক্ষর দেয়ার কথা স্বীকার করে তার স্বাক্ষর প্রত্যাহারের আবেদন জানান।
তবে কেন প্রত্যাহার করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসমান গণি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভেবে শফিকু আলমের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলাম।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা উসমান গণির স্বাক্ষর প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে শফিকুল আলমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শফিকুল আলম এমএসসি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সৈয়দ একেএম এমদাদুল বারীকে।
ফলে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য শফিকুল আলম তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। শফিকুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা নির্বাচনকে আরও সরগরম করে তোলে।
অন্যদিকে, শফিকুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদেরকেও। শক্ত প্রার্থী বিবেচনায় শফিকুল আলমকে বসে যাওয়ার অনুরোধ আসে এমদাদুল বারীর সমর্থকদের কাছ থেকেও। এদিন তাকে দিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের কাছে একটি আবেদন করানো হয়। আবেদনে ওসমান গণি লিখেন, তিনি শফিকুল আলমের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হননি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এ সংক্রান্ত হলফনামা জমা দেন। এতে তিনি মনোনয়নপত্রে সাক্ষর করেছেন বলে স্বীকার করেন।
তবে শফিকুল আলম দলীয় প্রার্থী নয় বলে তিনি তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে চান। রিটার্নিং অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদেও ওসমান গণি শফিকুল আলমের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকের স্বাক্ষর দেয়ার কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় শফিকুল আলমের মনোনয়নপত্র নিয়ে রোববার বেলা ৩টায় সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার শেষ সময়ে শফিকুল আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিংক কর্মকর্তা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঋণখেলাপি হওয়ায় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোবারক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।