ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের দ্বীপ দেশ নিউ জিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর ইউএসজিএস জানিয়েছে, নিউজি ল্যান্ডের স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২টা ২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২) এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৪।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল অ্যাম্বারলে থেকে ৪৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পশ্চিম, ক্রাইস্টচার্চ থেকে ৮৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পূর্বে; উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এরপর ৪০ মিনিটের মধ্যে কাছাকাছি এলাকায় ৬.২ ও ৫.৭ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের পর প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্কিং সেন্টার কোনো সতর্কতা জারি না করলেও পরে নিউ জিল্যান্ডের সিভিল ডিফেন্স মন্ত্রণালয়ের এক টুইটে বলা হয়, “পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে- সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। পূর্ব উপকূল কাছাকাছি থাকা মানুষদের উঁচু এলাকায় বা ভেতরের দিকে সরে যেতে বলা হচ্ছে।”
বিবিসির খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের রাজধানী ওয়েলিংটনের ভবনগুলোও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে এবং আতঙ্কিত লোকজন মধ্যরাতে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
স্থানীয় এক বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে বলা হয়, “প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মধ্যে আমাদের ঘুম ভাঙলো। অনেক দীর্ঘ সময় ধরে দুলুনি চলছিল।”
প্রাথমিকভাবে শেভিয়ট শহরে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসেনি।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের ওই এলাকায় ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ঘটনায় প্রায় ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।