চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামীকাল ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে ১৫ অক্টোবর ভারতের গোয়ায় ব্রিক্সের সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। ৩০ বছরের মধ্যে চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই হবে প্রথম বাংলাদেশ সফর। আর তাই এই সফরে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠতম সম্পর্ক স্থাপন হবে আশা করা যাচ্ছে।
আর এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে ভারতের উপর চাপ বাড়তে পার বলে গ্লোবাল টাইসম নামে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চীনের একটি দৈনিকের সম্পাদকীয় কলামে বলা হয়েছে।
ওই কলামে বলা হয়েছে, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কে ভারতের ঈর্শ্বান্বিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর এটা ভাবার কারণ নেই যে শি জিনপিং-এর এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে নয়া দিল্লির ঘনিষ্ঠতা কেড়ে নেওয়া হবে।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, ভারতের ঈর্শ্বান্বিত হওয়ার প্রয়োজন না হওয়ার কারণ হলো এই সফর বাংলাদেশের স্থানীয় অবকাঠামো ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবেশ সম্প্রসারিত করবে; যা ভারত-চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।
এই কলামে আরো বলা হয়, ভারত ভাবছে যে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব রোধ করে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে। কিছু ভারতীয়ের এই ভাবনা একটা ভুল ধারণা।