১৬ই অক্টোবর, ২০১৬ ইং, রবিবার ১লা কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


কেন চীনা পণ্যের দখলে বাংলাদেশের বাজার?


Amaderbrahmanbaria.com : - ১৩.১০.২০১৬

নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার বাংলাদেশে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বেশ কযেকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা সই হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছিল গত বছর ৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশে চীনের পণ্য রপ্তানির মোট পরিমাণ প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বাংলাদেশ থেকে চীনে পন্য রপ্তানির হার এক বিলিয়নেরও কম।

অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজারে চীনা পণ্যের ব্যবসা এতটাই রমরমা যে তাকে মোটামুটিভাবে চীনের দখলে বললেও ভুল হবে না। বাংলাদেশ চীনের বাজারতো ধরতে পারছেই না নিজেদের দেশেও তারা চীনা পণ্যের তুলনায় বহু অংশে পিছিয়ে আছে, কিন্তু কেন?

মোবাইল ফোনসেট ও এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বিক্রি হয় যেসব দোকানে ছুটির দিনের দুপুরে সেখানে ছিল বেশ ব্যস্ততা। সেখানে মোবাইল ফোনসেট ও সেটের কাভার কিনতে এসেছেন কেউ। কেউ কিনছেন পেন ড্রাইভ। এমনই একজন মোবাইল সেটের গ্লাস প্রটেক্টর কিনলেন।–বিবিসিবাংলা।

দোকানিরা জানান, এখানকার প্রডাক্ট বেশিরভাগই চীনের তৈরি। একজন বিক্রেতা জানান, “ক্রেতারা এ ধরনের জিনিসের পেছনে খুব একটা অর্থ ব্যয় করতে চান না। তাই চীনের পণ্যই চলে বেশি”।

শুধু তাই নয়। আসবাবপত্রের বাজারের একটি বড় অংশই চীনের পণ্যের দখলে। ঢাকার পান্থপথ এলাকার আসবাবপত্রের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেল একই চিত্র।

এস আর ফরেন ফার্নিচারের বিক্রয়কর্মী সৈয়দ নুর বলেন, “এখানে আমাদের যা কিছু আছে অফিস ফার্নিচার, ডাইনিং টেবিল, সেন্টার টেবিল, টিভি ট্রলি, কাউন্টার টেবিল এসব আসবাবই চীনের তৈরি”।

বাংলাদেশে এসব আসবাব তৈরি করা যায় কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কিছু কিছু হয় কিন্তু ফিনিশিং ভালো হয় না”। বাংলাদেশে যে পরিমান পণ্য আমদানি করে আনা হয় তার তুলনায় খুব সামান্যই রপ্তানি হয় চীনে।

চীন থেকে আসা খেলনা সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, আমদানি প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিপরীতে রপ্তানি এক বিলিয়নও নয়। অথচ বাংলাদেশের বাজার চীনের পন্যে সয়লাব বললে ভুল হবে না। আসবাব থেকে প্রযুক্তি পণ্য, পোশাক থেকে গহনা, শিশুদের খেলনা থেকে জুতা সবকিছুই চীনের বাজার থেকে চলে আসছে বাংলাদেশের বাজারে।

পোশাকের বাজারেও যেসব বিদেশী কাপড়ের পোশাক বেশি বিক্রি হয তার মধ্য্য চীনের পোশাকেরও রয়েছে আদিপত্য। মূলত চাকচিক্যময় ও নকশাদার হওয়ায় এগুলোর কদর বেশি। কোনও কোনও বিক্রেতা জানান, এসব পোশাকের ফেব্রিক্সও তুলনামূলক ভাল।

এছাড়া মেয়েদের ব্যাগ, বিভিন্ন ধরনার জুয়েলারিও আসছে চীন থেকে। থাইল্যান্ড ও ভারতের সাথেই চীনের এসব পণ্যের প্রতিযোগিতা । সেখানে দেশীয় পণ্য এগোতে পারছে না খুব একটা। কেন?

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড: মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মূল সমস্যা দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব। সেইসাথে অবকাঠামোগত অসুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি । যার কারণে ‌এই বিশাল ভারসাম্যহীনতা।

তিনি বলেন, “চীনে এখন শ্রমের মূল্য বাড়ছে। ফলে তারা বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে। বাংলাদেশের এই সুযোগটি কাজে লাগানো দরকার”।

নিজ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি পোশাক পণ্য উৎপাদন থেকে সরে আসছে আসছে চীন। সেখানেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন মুস্তাফিজুর রহমান।

আর যেহেতু বাংলাদেশের মোটামুটি সব পণ্যেই চীন শুন্য শুল্ক সুবিধা দিয়ে আসছে, তাই চামড়াজাত শিল্প এবং জুতার বাজার হতে পারে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য চীনে একটি লাভজনক ক্ষেত্র।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close