নিজস্ব প্রতিবেদক :চূড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিল রাঁচির একটি সরকারি হাসপাতাল।
খাবার থালা না থাকায় রোগীকে মেঝেয় খেতে দিল হাসপাতাল।
বাধ্য হয়েই মেঝে থেকে ভাত-ডাল তুলে খেতে হল পালমতীদেবীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাঁচি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে।
বুধবার এই ঘটনার ছবি ভারতের একটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হাসপাতালের যে কর্মী এই কাজ করেছিলেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সঙ্গে রোগীদের জন্য নতুন থালারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাতে চোট নিয়ে সম্প্রতি এই হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন পালমতীদেবী। তাঁর কাছে কোনও খাবার থালা ছিল না।
ওই দিন দুপুরে সমস্ত রোগীকে খাবার দিতে আসেন হাসপাতালেরই এক কর্মী। পালমতীদেবী খাবার জন্য একটি থালা চান।
ওই কর্মী তাঁকে জানান, কোনও থালা নেই। খেতে হলে মেঝে থেকেই খেতে হবে। এই বলে তিনি পালমতীদেবীর বরাদ্দ খাবারের পুরোটাই মেঝেয় ঢেলে দেন।
তার আগে পালমতীদেবীকে দিয়েই জায়গাটা পরিষ্কারও করান তিনি।
মেঝে থেকে খাবার খাওয়ার সেই ছবি একটি সংবাদ মাধ্যমের হাতে চলে আসে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।
প্রতি বছর রোগী পরিষেবার জন্য ওই হাসপাতাল ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদন পায়। তা সত্ত্বেও এক জন রোগীকে মেঝে থেকে ভাত তুলে খেতে হবে কেন?
সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন। অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছেন তাঁরা।
আর যাতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয় সে দিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।