বিনোদন ডেস্ক :হলিউড ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে ধরা হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সবচেয়ে আবেদনময়ী তারকা হিসেবে গণ্য হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। তার ভক্ত ও অনুসারি বিশ্বজুড়ে। তাদের জন্য রইলো অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
> যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসে ১৯৭৫ সালের ৪ জুন অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম। তার বাবা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড ও মা জন ভট দুজনেই পেশাদার অভিনয়শিল্পী ছিলেন।
> ১৯৭৬ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি ও তার ভাই উভয়েই তাদের মায়ের কাছে নিউইয়র্কের প্যালিসডে বেড়ে উঠেন।
> জোলির বয়স যখন এগারো, তখন তার পরিবার আবার লস অ্যাঞ্জেলসে ফিরে আসেন এবং অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে দুই বছর ধরে অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন জোলি।
> চৌদ্দ বছর বয়সে জোলি তার অভিনয় শিক্ষা থেকে সরে গিয়ে একজন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
> একটা সময় ছিল যখন জোলির মা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন এবং অধিকাংশ সময়ই জোলিকে অন্যের ব্যবহৃত পুরানো জামাকাপড় ব্যবহার করতে হতো।
> মডেল হওয়ার জন্য তার প্রথম চেষ্টাটি বিফলে গেলে জোলির আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে। সেসময় প্রায়ই তিনি নিজের শরীর কাটাকাটি করার মাধ্যমে নিজেকে রক্তাক্ত করতেন।
> ২০০২ সালে জোলি তার নামের শেষাংশ থেকে আইনগতভাবে ‘ভট’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ করার আবেদন করেন। দুই মাস পর তার নাম আইনগতভাবে পরিবর্তিত হয়ে শুধু ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ হয়।
> মূলত বাবা মার্শেলিন বার্ট্রান্ডের থেকেই জোলির অভিনয়ের হাতেখড়ি। সাত বছর বয়সে জোলি যে লুকিন’ টু গেট আউট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাঁর সহ-চিত্রনাট্যকার ও মূল অভিনেতা ছিলেন তাঁর বাবা।
> চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জোলির পেশাজীবন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। অল্প বাজেটের চলচ্চিত্র সাইবর্গ ২-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
> ১৯৯৭ সালে জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র জর্জ ওয়ালেস-এ কর্নেলিয়া ওয়ালেস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জোলির পরিচিতি বাড়তে শুরু করে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন ও এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
> ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার ও দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটনের সাথে। পরবর্তীতে উভয়ের সাথেই তার বিচ্ছেদ ঘটিয়ে অভিনেতা ব্রাড পিটের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তবে সম্প্রতি এ সম্পর্কটিরও ইতি টানলেন জোলি।
> জোলি-পিট যুগলের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়। এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের তিন সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা।
> জোলি তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন। তার শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উল্লেখযোগ্য দিক, তার ঠোঁটজোড়া। বিভিন্ন মিডিয়া ম্যাগাজিন ও সাময়িকীর পরিচালিত ভোটে একাধিকবার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুন্দরী’ বা ‘সেক্সি’ নারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।