নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল আজহার ছুটিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত ও ৪২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের তালিকায় ৯ জন নারী ও ১৩টি শিশু রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শনিবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার নির্বাহী আদেশে ১১ সেপ্টেম্বর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিলো ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। সেই হিসেবে কার্যত পরেরদিন ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকেই শুরু হয় ঈদের টানা ছুটি। ওইদিন সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ নিহত হয় চারজন এবং আহত হয় ৯৪ জন। ১০ সেপ্টেম্বর ২২ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হন।
নিহতের মধ্যে এক নারী ও এক শিশু রয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ও আহত হয়েছে যথাক্রমে ৯ ও ৪৪ জন। নিহতের তালিকায় এক নারী ও দুই শিশু রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর এক নারী ও এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৯ জন। ১৩ সেপ্টেম্বর নিহত ও আহত হয়েছে যথাক্রমে ১০ জন ও ১৭ জন। নিহতের মধ্যে রয়েছে দুই নারী ও তিন শিশু। ১৪ সেপ্টেম্বর চার নারী ও তিন শিশুসহ নিহত হয়েছে ১৯ জন; আহত হয়েছে ৫১ জন। ১৫ সেপ্টেম্বর ছয়জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে এক শিশু রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত হয়েছে ২৩ জন; যার মধ্যে রয়েছে এক শিশু। আর এদিন আহত হয়েছে ১১৩ জন।
জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাঁচটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. ঈদে বিভিন্ন মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে তীব্র যানজটের কারণে ব্যয় হওয়ায় ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ২. দীর্ঘ ছুটির কারণে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা, ৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বারবার তাগিদের কারণে চালকের অন্যমনস্কতা, ৪. অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাড়তি ট্রিপ দেয়ার কারণে চালকের সাময়িক শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা এবং ৫. দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ওভারটেকিংয়ের ক্ষেত্রে চালকদের মাঝে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করার প্রবণতা।