নিজস্ব প্রতিবেদক : তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব পেশা রয়েছে। সারা বছর সেই কাজেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু কুরবানি ঈদ এলেই নতুন কাজে নেমে পড়েন তারা। আর তা হলো কুরবানির পশু কাটা অর্থাৎ কসাইয়ের কাজ।তাই তো কিছু বাড়তি রোজগারের আশায় এবারো উত্তর বঙ্গ থেকে রাজধানীতে ছুটে এসেছে, আক্কাস, রফিকুল, এমদাদ, সাচ্চুদের মতো আরো অনেকেই।
এবার ঢাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী কসাই নেই। তাই ঈদের দিন এমন ‘মৌসুমি’ কসাইয়ের দেখা মেলে।
আবদুল বারেক নামের এক যুবক জানান, এলাকায় তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। কিন্তু ফি বছর কুরবানির ঈদে তিনি চলে আসেন ঢাকায়। কাজ করেন কসাইয়ের। এতে তার ভালো রোজগার হয় বলে জানালেন।
বারেক জানান, তারা কয়েকজন মিলে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করেন। গরুপ্রতি আকৃতিভেদে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। পরে সেই টাকা ভাগ করে নেন।
ঢাকায় যে পরিমাণে পশু কোরবানি হয়, সে পরিমাণে পেশাদার কসাই পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই আগে থেকেই কসাই বুকিং দিয়ে রাখেন। পুরান ঢাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন অগ্রিম ৫০০ টাকা দিয়ে একজন কসাই ঠিক করেছেন। জাকির বলেন, ঈদের সময় তো পেশাদার কসাই সহজে পাওয়া যায় না। আর তাঁদের চাহিদাও বেশি থাকে। এইবার আমি আগেই বুকিং দিয়ে রাখছি।