নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় এক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন নারী ‘জঙ্গি’। সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর আজিমপুরে ২০৯/৫ পিলখানা রোডের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, অভিযানে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা করিমের চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে।
অভিযানের সময় ওই বাড়ির পাশের একটি গলিতে কয়েকজনের সঙ্গে ক্যারাম খেলছিলেন আরমান খান। তিনি ২০৯/১১ লালবাগ রোডের বাসিন্দা। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা ক্যারাম খেলছিলাম। হঠাৎ দেখি গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পোশাক পরা এক কর্মকর্তা হাতে পিস্তল নিয়ে দৌড়াচ্ছেন। ডিবি কর্মকর্তার গায়ে রক্ত ছিল। তখন আমরা ভয় পেয়ে খেলা বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাই।’
আরমান খান আরো বলেন, ‘এর ১৫-২০ মিনিট পর পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় ভিড় করেন। তাঁরা ২০৯/৫ পিলখানা রোডের বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। পরে তাঁরা বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। তারপর আমরা প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তানভীর হোসেন কালু বলেন, ‘আমি তখন ওই এলাকায় ছিলাম। হঠাৎ দেখি এই বাসা থেকে এক নারী ছুরি হাতে রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছে। পুলিশ পেছন থেকে তাকে গুলি ছোড়ে। বাসা থেকে ১০০ গজ সামনে গিয়ে পড়ে যায় ওই নারী। পরে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।’
তানভীর হোসেন কালু ওই বাড়িটিতেও প্রবেশ করেছিলেন। তিনি জানান, ওই সময় জঙ্গিদের হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়ে পড়ে যান। তখন ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করতে গেলে তিনি বলেন, ‘ভাই, আগে আমার স্যাররে (ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) বাঁচান।’
এলাকাবাসী জানান, ২০৯/৫ পিলখানা রোডের বাসাটির মালিক হাজি কায়সার। তিনি সেই বাসায় থাকেন না। পরিবার নিয়ে পাশের লালবাগের বটতলা এলাকায় বসবাস করেন। হাজি কায়সারের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। তিনি একজন ব্যবসায়ী। বটতলা এলাকায় ‘কায়সার সুইটস’ নামে তাঁর একটি মিষ্টির দোকান আছে।