নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত দলের প্রধান অঙ্গসংগঠন জাতীয় যুব সংহতির কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলীয়শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যুব সংহতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে শোকজ করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যুব সংহতির বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর শিকদার লোটন ও ফখরুল আহসান শাহজাদাকে সদস্য সচিব করে জাতীয় যুব সংহতির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছেন এরশাদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া রবিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাপার যৌথসভায় এরশাদ ও রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। যৌথসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় যুব সংহতির সভাপতি জাপার সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
এনিয়ে দলের চেয়ারম্যান, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিরা ক্ষুব্ধ হন। বক্তব্য দেয়ার সময় অনেকেই রেজাউলের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানান। কয়েকজন প্রেসিয়িডয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য তাৎক্ষণিক রেজাউলকে বহিষ্কিার করার জন্য এরশাদকে অনুরোধ করেন।
অপরদিকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদেরকেও প্রকাশ্যে রেজাউলের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে। অনেক নেতাকর্মী তার বক্তব্য থামানোর জন্য হইচই শুরু করেন। মিলনায়তনে এই সময় সোরগোল লেগে যায়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
যৌথসভায় রেজাউল অভিযোগ করেন, যাদেরকে দলে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে তারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অনেকের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রেসিডিয়াম সদস্যদের দিয়ে কীভাবে দল পরিচালিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের সময় এরশাদ ও রওশন এরশাদকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।