স্পোর্টস ডেস্ক : খারাপ খেলেনি বার্সেলোনা। তারপরও জয়টা মাত্র ১-০ গোলের! কোচ হিসেবে লুইস এনরিকের শততম জয়টা আরও একটু দর্শনীয় হতে পারত যদি সুয়ারেজ, মেসি কিংবা আরদা তুরানরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারতেন। তারপরও বিলবাওয়ের লড়াইকে পেছনে ফেলে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াটাকে ‘মন্দ’ বলবে না বার্সেলোনার সমর্থকেরা। সান ম্যামেসে তো বড় দলগুলোকে প্রায়ই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়! কাল ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় ইভান রাকিতিচের গোলটিই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন দুই দলের মধ্যে।
খেলার শুরুতেই আরদা তুরানের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। সুয়ারেজ অফসাইডে থেকে তুরানকে ক্রস করেছিলেন—রেফারির দৃষ্টি এড়ায়নি তা। ২০ মিনিটের সময় এই তুরানের ক্রসেই হেড করে গোল করেন রাকিতিচ।
বিরতির ঠিক আগ দিয়ে তুরান আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। তাঁর শটটি পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি আরও দুটো ভালো সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমটি অবশ্য দুর্ভাগ্যই বলতে হবে মেসির। বক্সের একেবারে মাথা থেকে তাঁর দারুণ বাঁকানো শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়াটিতে অবশ্য গোলের সম্ভাবনা বেশি থাকলেও মেসি তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে দেন।
তবে সুয়ারেজ যে সুযোগটি নষ্ট করেছেন, তা দৃষ্টিকটু। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বিলবাও গোলকিপার গোরকা ইরাইজোজকে একা পেয়েও বল মেরে দেন তাঁর শরীরে।
ম্যাচে বিলবাও লড়াই খারাপ করেনি। কিন্তু তারপরও প্রাধান্য ছিল পুরোপুরিই বার্সেলোনার। গোটা ম্যাচে বিলবাওয়ের গোলে নেওয়া বার্সেলোনার ১২ শটের মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে—এই পরিসংখ্যানটি একটু লজ্জাতেই ফেলছে এনরিকের দলকে। কারণ, গত জানুয়ারিতে এসপানিওলের বিপক্ষে ম্যাচের পর লা লিগায় এটাই গোলমুখে বার্সার সবচেয়ে কম শট।
সান ম্যামেসের মাঠ বড় দলগুলোর জন্য সব সময়ই জুজুর ভয় রেখে দেয়। তাই এই ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট পেয়েই স্বস্তিতে বার্সেলোনা। নিজের শততম জয়ের চেয়েও এনরিকের স্বস্তি পুরো পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাই, ‘আমি ম্যাচের ফলে খুশি। প্রতিপক্ষ খুব ভালো দল। যদিও ম্যাচের লড়াইটা আমরা শুরুতেই একতরফা বানিয়ে ফেলতে পারতাম, যদি কয়েকটা গোল করতে পারতাম। তারপরও আমার ছেলেরা ভালোই খেলেছে।’ রয়টার্স