নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। প্রথম দিন দেয়া হবে ৭ সেপ্টেম্বরের টিকেট। ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। এ তিনটি স্টেশন ছাড়াও সিলেট, খুলনা, যশোর ঈশ্বরদী, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ বড় স্টেশনগুলো থেকেও অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, টিকেট বিক্রির জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কমলাপুরে নিয়মিত কাউন্টারগুলোর সঙ্গে অতিরিক্ত কাউন্টারও বসানো হবে। সকাল ৮টা থেকে একনাগাড়ে টিকেট বিক্রি হবে, যতক্ষণ টিকেট থাকবে ততক্ষণ বিক্রি চলবে।
টিকেট বিক্রি নির্বিঘ্ন করতে র্যা ব, বিজিবি, জিআরপি ও আর্মড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেশনে মোতায়েন থাকবে বলে রেল মহাপরিচালক জানান। এর আগে রবিবার রেল বনে বৈঠক শেষে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঈদের ১০ দিন আগে আগাম টিকেট বিক্রি করব যাতে যাত্রীদের কোনো অসুবিধা না হয়। ঈদের পরেও টিকেট বিক্রি করব।
কোরবানির ঈদের আগে-পরে বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ঈদ সামনে রেখে রেলে অতিরিক্ত কোচ ও ইঞ্জিন সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, একজন যাত্রীকে চারটির বেশি টিকেট দেয়া হবে না এবং বিক্রি হওয়া টিকেট ফেরত নেয়া হবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ সেপ্টেম্বর কোরবানির ঈদ হবে। সে অনুযায়ী ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির সময় ঠিক করা হয়েছে।
জানা গেছে, এবার রেলের বহরে থাকা এক হাজার ছয়টি কোচের সঙ্গে আরও ১৪০টি কোচ যোগ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে চলাচলকারী ২০২টি ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ১৮টি ইঞ্জিন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত উপকূল এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়া অন্য সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে না।
রেলওয়ে জানায়, ঈদের তিন দিন আগ থেকে আগামী ৯, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং ঈদের পরের সাত দিন আগামী ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন জোড়া করে বিশেষ ট্রেন চলবে। ঈদকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা রেল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেলভবনে একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে, সেখান থেকে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।