নিউজ ডেস্ক : ৩৪ বছর পর অভিমান ভেঙে কবি শহীদ কাদরী ফিরছেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। তবে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে নয়। তিনি ফিরছেন কফিনে বন্দি হয়ে। তার এই শেষযাত্রা নিউইয়র্ক থেকে শুরু হবে স্থানীয় সময় সোমবার ২৯ আগস্ট রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায়) আমিরাত এয়ারলাইন্সে। জেএফকে থেকে ইকে ২০২ ফ্লাইটে কবির লাশ যাবে দুবাই। সেখান থেকে কফিনসহ ইকে ৫৮২ নম্বরের ফ্লাইট রওয়ানা দেবে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং তা ঢাকায় পৌঁছানোর কথা বুধবার সকাল ৮টায়। লাশের সাথে একই ফ্লাইটে যাচ্ছেন কবির একমাত্র সন্তান আদনান কাদরী। তবে, একই ফ্লাইটে টিকিট না পেয়ে প্রায় একই সময়ে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারলাইন্সে রওয়ানা দেবেন কবিপত্নী নীরা কাদরী। স্বামী হারিয়ে বাকরুদ্ধ নীরার সাথে ঢাকায় যাচ্ছেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য ট্র্যান্সপোর্টেশন ডিপার্টমেন্টের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর অন্যতম সংগঠক সাবিনা হাই উর্বি।
বাংলা একাডেমি এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি শহীদ কাদরী ২৮ আগস্ট রবিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কে নর্থ শোর ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর কবির লাশ নেয়া হয় কুইন্সে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার জামে মসজিদে। সেখানে বাদ মাগরিব জানাযার আগে কবির কফিনে সর্বস্তরের প্রবাসীরা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। কবির পুত্র আদনান কাদরী তার বাবার প্রতি প্রবাসীদের গভীর মমত্ববোধের কৃতজ্ঞতা জানান।
কবির লাশ বাংলাদেশে নিয়ে সসম্মানে দাফন করা পর্যন্ত যত রকমের ব্যয় হবে তা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান যাবতীয় প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। বরেণ্য কবির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রবাসের শিল্প-সাহিত্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
১৯৮২ সাল থেকে কবি শহীদ কাদরী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন। কোন এক অজানা কারণে তিনি বাংলাদেশে যেতে চাননি কখনোই। কিন্তু ২৭ আগস্ট শনিবার অপরাহ্নে স্ত্রী নীরার সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর ঠিক ১৬ ঘণ্টা পরই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিডি-প্রতিদিন