নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। শেষবারের মতো নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
৫ জানুয়ারি উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, “সরকারের বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে এখানে লাখ লাখ লোকের ঢল নামবে।”
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “দীর্ঘদিন পর এ ধরনের সমাবেশ হচ্ছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই।”
বিএনপির সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেবেন। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে কার্যালয়ের সম্মুখে জনসভার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, রাস্তা ব্যবহার না করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে স্বল্প পরিসরে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে। স্বল্পসংখ্যক মাইক ব্যবহার করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের ভেতরে ও বাইরে উন্নত রেজল্যুশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অযথা বিএনপির জনসভা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমাদের জনসভা হবে শান্তিপূর্ণ, কোনো রকমের সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচিতে যাব না। আশা করছি, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার জনসভা করার অধিকার প্রয়োগে সরকার যাবতীয় সহযোগিতা করবে।” নতুন বার্তা