দেহের সুষ্ঠু কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, কমে যাচ্ছে ঘুম
---
বিগত ৫০ বছরে এক থেকে দেড় ঘণ্টার ঘুম খুইয়েছে আমেরিকানরা। এর পেছনে স্মার্টফোন, ই-রিডার, কম্পিউটারকে দায়ী করা হয়। বিশেষজ্ঞ মারিয়া কনিকোভা 'দ্য নিউ ইয়র্কার'-এ লিখেছেন, ঘুম এবং তার প্রয়োজনীয়তার কথা। জেনিটিক বিষয়, খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়ামের অভ্যাস বা নিকোটিন গ্রহণ ইত্যাদি আমাদের ঘুমের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ৬৯ শতাংশ আমেরিকান ঘুমের অভাবে ভোগেন। ঘুমের ব্যাঘাতের কারণগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবার ওপরে উঠে এসেছে আলো। চোখের আলো গ্রহণকারী কোষগুলো দেহের সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো আলোতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে ব্লু লাইট নির্গত হয়। এতে ঘুমের নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঘাত ঘটে। গবেষণার কাজে বিজ্ঞানীরা ১২ মানুষকে ঘুমানোর আগে ই-বুক রিডার ব্যবহার করতে বলেন। পর পর ৫ দিন এ কাজের পর দেখা যায়, তাদের দেহে বিলম্বে মেলাটোনিন হরমোন নির্গত হচ্ছে। এটি ঘুম আনে। এ ছাড়া বহু গবেষণায় দেখা গেছে, দেহকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্যে ঘুমের সময় অন্ধকার প্রয়োজন। তাই ঘুমের সময় এসব আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। সার্কাডিয়ান চক্র ব্যাহত হলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের ঘুমে ইতিমধ্যে ব্যাঘাত ঘটে গেছে তাদের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে ইয়োগা, মেডিটেশনসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি যারা স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাদের ব্লু লাইট প্রটেকটর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার