বৃহস্পতিবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৩ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মওলানা ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

vasany_175454মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন বিদ্রোহী এই প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ছিয়ানববই বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুর পরদিন তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে নিজ হাতে গড়া মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরবার হলের কাছে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে এই মহান নেতার কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে মওলানার সমাধিস্থল টাঙ্গাইলের সন্তোষে গেছেন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিনিধি দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া দিবসটি পালনে বিভিন্ন দল ও সংগঠন পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে এই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তাঁর মাগফিরাত কামনা করে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিবসটি সর্বাত্মকভাবে পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপ এর নেতারা।
মওলানা ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শরাফত আলী ও মাতা মজিরন বিবি।
মওলানা ভাসানী ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংরক্ষণ- প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলেন পথিকৃৎ। সেই ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনেই তিনি পাকিস্তানের বিমাতাসুলভ শাসকগোষ্ঠীকে ‘আসসালামু আলাইকুম' বলে বিদায় জানিয়েছিলেন। বীজ বপন করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের।
১৯৭৬ সালের ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। মুখে লম্বা দাঁড়ি, পরনে সাদা লুঙ্গি, পাঞ্জাবী আর মাথায় বেতের টুপী পরা এই অনন্য সাধারণ লোকটিকে এ দেশের মানুষ আজও কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে।
সোমবার সকালে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সন্তোষে মওলানা ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
 

Print Friendly, PDF & Email