সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় পাকিস্তানে ২১২ এমপির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত
---
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের দুই শতাধিক সদস্যের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় নির্বাচন কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এক নোটিশে তাঁদের এই সদস্যপদ স্থগিত করে দেয়। খবর ডনের।
গত বুধবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ওই নোটিশে বলা হয়, সদস্যপদ যত দিন স্থগিত থাকে, তত দিন পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সম্পদ ও দায়-দেনার বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন ২১২ জন আইনপ্রণেতা। এসব ব্যর্থ আইনপ্রণেতার মধ্যে ৪০ জন জাতীয় পরিষদের, দুজন সিনেটের, ৯৮ জন পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের, ২৯ জন সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের, ৩৪ জন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদের ও নয়জন বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।
সদস্যপদ সাময়িকভাবে খোয়ানো প্রভাবশালী আইনপ্রণেতাদের কয়েকজন হলেন ওয়াইজ মুজাফ্ফর তাপ্পি, চৌধুরী জাফর ইকবাল, দানিয়াল আজিজ, মোহসিন শাহনাওয়াজ, জুলফিকার ভাটি, ফয়সাল জামাল গোলাম রব্বানি খার, ওয়াইজ লেঘারি, পীর সদরুদ্দিন শাহ, আরিফ আলভি, সুগফতা জামালি, সিনেটর আবদুল কাইয়ুম সুমরো, সিনেটর মোহাম্মদ ইউসুফ, সিরাজুল হক, রাজা পারভেজ আশফাক, নাগমা মুশতাক ও তারিক মসিহ।
১৯৭৬ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৪২-এ ধারা ও সিনেট অ্যাক্ট (ইলেকশন) ১৯৭৫-এর ২৫-এ ধারার ক্ষমতাবলে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্যের প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিল করার কথা রয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনের মধ্যে যাঁরা ওই হিসাব দাখিল করবেন না, আইনে নির্বাচন কমিশনকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যপদ স্থগিত করা-সংবলিত নোটিশ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করা পর্যন্ত সদস্যপদ স্থগিত রাখার নির্দেশনাও রয়েছে আইনে।