কসবায় কোটি টাকা নিয়ে ভুয়া এনজিও উধাও
আরও : দুই সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সোশ্যাল সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (এসএসপি) নামের একটি ভুয়া এনজিও এলাকায় ঋণ দেয়ার কথা বলে ২৩শ’ সদস্যের কাছ থেকে জমানো প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। পালিয়ে গেছে কর্মকর্তাসহ এনজিও কর্তৃপক্ষ। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া মাঠকর্মীরা। সরজমিন জানা গেছে, ঢাকার সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগম সোশ্যাল সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (এসএসপি) গভ. রেজিনং-এস-১২৪৬০ (৭৭১)/২০০৯ রেজিস্টার্ড কার্যালয় মাটি ডালী, বিমান মোড়, রংপুর রোড, বগুড়া নামের একটি ভুয়া এনজিও এলাকায় ঋণ দেয়ার কথা বলে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোখলেছ মিয়ার বাড়িতে গত ডিসেম্বর মাসে ৫টি কক্ষ ৮ হাজার টাকায় মাসিক ভাড়া নেয়। এলাকার কয়েকজন মাঠকর্মীসহ ৯ জন কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেন। তাছাড়াও কসবা উপজেলা সদর ও নয়নপুর বাজারে আরও দুটি অফিস করে। কসবা উপজেলার ভৈরবনগর, গঙ্গানগর, চৌবেপুর, লেশিয়ারা শিমরাইল, কসবা পৌর শহরের তেতৈয়া ও নয়নপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রবাসী ঋণ, বিভিন্ন প্রকার মেশিন, অটোরিকশাসহ ঋণ দেয়ার কথা বলেন। এর জন্য এলাকায় প্রায় ২৩ শ’ সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করেন। যারা ঋণ গ্রহণ করবে তাদের ১ লাখ টাকা হলে, ১০ হাজার টাকা, ২ লাখ টাকা হলে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন। কয়েক দিন আগে ২-৩ জন সদস্যকে ঋণ দিলেও গতকাল সদস্যদের ঋণ দেয়ার কথা। সদস্যরা গতকাল সকালে ঋণ নিতে এসে দেখেন এনজিও কর্তৃপক্ষসহ কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন তারা। স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া মাঠকর্মী সালমা বেগম বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী অফিস ভাড়া নিয়ে ঋণের কার্যক্রম শুরু করে। ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, সমিতিতে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৩শ’ সদস্য হয়েছেন। যেসব সদস্য ১ লাখ টাকা ঋণ নেবে তাকে ১০ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকা ঋণ নিলে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে। আজ (গতকাল) কয়েক লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কথা ছিল। রাতেই অফিসের সব কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের। লোকজনদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। তিনি আরাও বলেন, কমপক্ষে কোটি টাকা নিয়ে কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছে। কসবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার বলেন, সোশ্যাল সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (এসএসপি) নামে সমাজসেবা থেকে অনুমোদন নেই।
এ ধরনের এনজিও আছে আমাদের জানা নেই। কসবা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, এটি কোন সমবায়ের সঙ্গে জড়িত নয়। এটি একটি এনজিও তাই সমবায় অধিদপ্তরের কোন কাজ নেই। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন মামলা করতে চাইলে মামলা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, টাকা আদায় করতে হলে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। মানবজমিন