g যে কারণে মাঠে নামছে না জামায়াত-শিবির | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ১৬ই জুলাই, ২০১৭ ইং ১লা শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যে কারণে মাঠে নামছে না জামায়াত-শিবির

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৯, ২০১৪

---

Jamat-2অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়েও ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামেনি বিএনপি। দলটির এমন নিষ্ক্রিয়তায় অনেকটা ক্ষুব্ধ ও হতাশ জামায়াত। বার বার ঘোষণা দিয়েও বিএনপির এমন আচরণেই মূলত মাঠে নামছে না জামায়াত-শিবির।
 
জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

জামায়াতের দাবি, নির্বাচন প্রতিহত করতে তাদের পরামর্শেই এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীর বাইরে থেকে অনেক নেতা-কর্মীদের ঢাকা আনা হয়েছিল। কিন্তু তাদের খালি হাতে ফেরত পাঠাতে হয়েছে। কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় নি প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে।

জামায়াত-শিবিরের অভিযোগ, ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ঘিরে ব্যাপক প্রস্ততি থাকলেও বিএনপির নিষ্ক্রিয়তায় তাদের মাঠে নামা সম্ভব হয়নি। ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ব্যাপক প্রস্ততি রেখে মাঠে নামার জন্য কর্মীদের নির্দেশ ছিল। কিন্তু বিএনপি কয়েক দফা তাদের সঙ্গে মাঠে নামবে এ কথা দিয়েও শেষ পর্যন্ত মাঠে নামেনি তারা। অনেকটা জামায়াতের আন্দোলনে ফল ঘরে তুলতে চেয়েছিল বিএনপি।

শিবিরের দাবি, ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রের নির্দেশনা না পেয়েই শিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা মালিবাগে একটি মিছিল বের করে। সেখানে মিছিল করতে গিয়ে নিহত হন মানসুর নামে তাদের একজন কর্মী।  

এদিন একই সময় একই স্থানে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল, ‍যুবদল ও শিবিরে একসঙ্গে নামার কথা ছিল। কিন্তু শিবিরকর্মীরা সেখানে এসে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছাত্রদল ও যুবদলের দেখা না পেয়ে নিজেরাই মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এক কর্মী নিহত হন।

শিবির সূত্র জানায়, ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্র করে রাজধানীর বাইরে থেকে লাখের অধিক শিবিরকর্মী ঢাকায় আনা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ৩১ ডিসেম্বর সোমবার রাত থেকে তাদের ফের নিজ নিজ জেলায় পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর বাসা থেকে বের হতে না পেরে কর্মসূচি ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

কিন্তু ওই দিনও বিএনপি একই চেহারা দেখায় জামায়াত-শিবিরকে। রাজধানী বেইলি রোডে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছাত্রদল, যুবদলের দেখা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মিছিল না করেই বাসা ফিরে যায় তারা।

শিবিরের কয়েকজন নেতা জানান, ৩০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া বিকেলে বাড়ি থেকে বের হতে না পারলে বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে মিছিল করার পরিকল্পনা ছিল। সেই বার্তা পেয়ে সেখানে তিন ঘণ্টা ঘুরে কয়েক’শ শিবিরকর্মীর উপস্থিতি চোখে পড়লেও একজন বিএনপি কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়নি। কর্মীদের আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সাড়া না মেলায় তাদের বাসায় চলে যেতে বলা হয়।

সেখানে উপস্থিত মহানগর পর্যায়ের একজন শিবির নেতা বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রদল ও যুবদলের অনুপস্থিতিতে এক পর্যায়ে তারাই একটি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নিষেধ করায় তা করা হয়নি।

এ বিষয়ে শিবিরের প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি নিষ্ক্রিয়তা বা স্বকীয়তা নয়, বরং সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে মাঠে নামতে দেয়নি ১৮ দলের কর্মীদের। বিএনপি তাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করেছে আমরাও আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, সরকার বাধা দিয়ে মূলত তাদের পতন ডেকে এনেছে। কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কারণে লাগাতার অবরোধ এসেছে। আগামীতে অসহযোগসহ আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক আসবে। আমাদের বিজয় হয়েছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একজন নেতা অভিযোগ করে বলেন, আর কত প্রাণ দেবে জামায়াত-শিবির। আমরা আন্দোলন করবো আর ফল ঘরে তুলবে বিএনপি। তারপরও সামষ্টিকভাবে যদি আন্দোলন করতে পারতাম তবে একটা ফলাফল পাওয়া যেত।

জানা গেছে, এর আগে ২৯ ডিসেম্বর ঘিরে কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনা ছাড়া মাঠে না নামার নির্দেশ ছিল। এই নির্দেশ মানতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে প্রস্তত থেকেও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি।

শিবিরের দাবি, রোববার মালিবাগে একটি মিছিল বের করা হয়েছিল মূলত বিএনপিকে ‌উজ্জীবিত করতে। কিন্তু বিএনপি না নামায় তারা একাই মাঠে নেমে মানসুর নামে এক কর্মীকে হারান।

এ জাতীয় আরও খবর