স্বামী-সন্তানের সামনেই যৌন সম্পর্কে বাধ্য হল স্ত্রী! অতঃপর…
নিজ ঘরে মধ্যে স্বামী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আরেক পাশে দুই শিশু ভয়ে সিঁটিয়ে বসে আছে। এমন পরিবেশ পরিস্থিতিতেই এলাকার দু’জন যুবকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য হন স্ত্রী। গত শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে।
ভারতের কোচবিহারের শিতলকুচির বড় মধুসুদন গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জার ভয়ে প্রথম কয়েকদিন চুপচাপ ছিলেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ। কিন্তু গত মঙ্গলবার পুলিশের দ্বারস্থ হন নারী।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ওই দিন স্থানীয় শীতলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ঘটনার তদন্ত করে কৃষ্ণ বর্মন ও পিন্টু বর্মন নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, গত শনিবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে তাদের নিমন্ত্রণ ছিল। তারা সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওইদিন ফিরতে একটু রাত হয়। বাড়ি ফেরার পর প্রতিদিনের মতো তারা ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত ৩টার দিকে ঘরে মধ্যে কিছু শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং আলো জ্বালান তিনি। তখন সে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান, তা হলো ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে এলাকারই দুই যুবক কৃষ্ণ ও পিন্টু।
নির্যাতিতার দাবি, ঘরে সিঁদ কেটে ঢুকেছিল ওই দুই ব্যক্তি। তাকে দেখেই দু’জন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি শুরু করে দেন। এরপর তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই গৃহবধূ তাতে রাজি হননি। বরং চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সেই চিৎকারে তার স্বামীর ঘুম ভেঙে যায়।
এমন পরিস্থিতি দেখে তার স্বামী প্রতিবাদ করেন। এ সময় স্ত্রীর সম্মান বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তখন কৃষ্ণ ও পিন্টু মিলে ওই দম্পতিকে প্রচণ্ড মারধর করে। ব্যাপক প্রহারের পরে ওই গৃহবধূর স্বামীকে হাত-পা বেঁধে ঘরের একপাশে ফেলে রাখে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীর দুই সন্তানের উপর আক্রমণের হুমকি দেয়। এরপর জোর করে ওই গৃবধূকে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।
ওই নির্যাতিতা নারী বলেন, এ ঘটনা কাউকে জানালে তার স্বামী ও সন্তানদের খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয় কৃষ্ণ ও পিন্টু। এই কাণ্ড ঘটিয়ে রাতেই তারা ওই নারীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে লোকলজ্জার ভয়ে ওই পরিবারের কেউই বাড়ির বাইরে বের হয়নি।
অবশেষে মঙ্গলবার শীতলকুচি থানায় গিয়ে কৃষ্ণ ও পিন্টুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।