বুধবার, ৭ই মার্চ, ২০১৮ ইং ২৩শে ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

চলে গেলেন ওরাল স্যালাইনের উদ্ভাবক ড. রফিকুল

একটা সময় ছিল, যখন  যখন কেউ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হলে তার প্রাণহানী ঠেকানোই কঠিন হতো। অথচ এখন কিন্তু ডায়রিয়া আমাদের কাছে তেমন কোনো বড় রোগ মনেই হয় না। যাদের অবদানে আজ আপনি সহজেই স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া আক্রান্তকে বাঁচাতে পারছেন। তাদের মধ্যে একজন ড. রফিকুল ইসলাম। যিনি আজ না ফেরার দেশে চলে গেছেন ।

সোমবার ৫ মার্চ সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া বয়স সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র, দুই কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশের উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআর,বি এর সাবেক চিফ ফিজিশয়ান ড. রফিকুল ইসলাম ওআরএস এর উন্নতিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশে অতি পরিচিত ওরাল স্যালাইন তার হাত ধরেই পূর্ণতা লাভ করেছে।

১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. রফিকুল ইসলাম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে আইসিডিডিআর,বি-তে যোগ দেন। ২০০০ সালে সেখানকার চিফ ফিজিশিয়ান থাকাকালীন অবসরে যান।

একাত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরে অসংখ্য বাংলাদেশি আশ্রয়গ্রহণ করেন। সেখানে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিল কলেরা। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যে স্যালাইন দেওয়া হতো তা ফুরিয়ে যায়। তখন অসংখ্য রোগীর জীবন বাঁচিয়েছিল ওআরএস। স্বাধীনতার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওআরএক-কে স্বীকৃতি দেয়। পরে ধীরে ধীরে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বাড়ি এ স্যালাইন পৌঁছে দেয় বাংলাদেশি এনজিও ব্র্যাক। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Print Friendly, PDF & Email