সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে হাসান বাহিনীর২ সদস্য নিহত আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে বলেশ্বর নদের মাঝের (বিহঙ্গ) চরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) সাথে বনদস্যু হাসান বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই দস্যু নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।৫ মার্চ সোমবার ভোরে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ‘হাসান বাহিনীর সদস্য’ আতাউর সরদার ও রবিউল মালি।বরিশাল র্যাব-৮ এর উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে পূর্ব সুন্দরবনের বলেশ্বর নদের মাঝেরচরে (বিহঙ্গ) র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সুন্দরবনের বনদস্যু হাসান বাহিনী সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ২ বনদস্যুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান কমান্ডার আল রাজিব।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে। বন্দকযুদ্ধ শেষে তল্লাশি চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু’জনের মরদেহ উদ্ধারসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে লাশ ও গোলাবারুদ পাথরঘাটা থানায় আনা হয়েছে। বিগত সময়ে র্যাব-৮ এর ক্রমাগত অপারেশনে একাধিক জলদস্যু বাহিনীর প্রধান নিহত হবার পাশাপাশি অস্ত্র গোলাবারুদসহ সর্বমোট ১৯০ জন জলদস্যু আত্মসর্মপন করেছে, উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক দেশী/বিদেশী অস্ত্র-গোলাবারুদ। বর্তমানে মৎস্য আহরণ মৌসুমে সুন্দরবনের মংলা, কয়রা ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে জলদস্যু/বনদস্যুরা পূর্বের ন্যায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
গত ০২ মাসে বিভিন্ন ডাকাত/জলদস্যু বাহিনী ৩০/৩৫ জন এর অধিক জেলেদেরকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ করেছে। সর্বশেষ গত ০৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে সুন্দরবন রক্ষী বাহিনী ও জলদস্যুদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যুদের নিকট হতে ০৬ জন জিম্মি উদ্ধার করা হয়।