‘আগামী নির্বাচনে জনগন ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবে’
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মদদদান অব্যাহত রাখলে আগামী নির্বাচনে জনগন ব্যালটের মাধ্যমে তার সমুচিত জবাব দেবে। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদদ না দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন। এসব করে ২০১৪ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না।
তিনি সোমবার বিকেলে রাজধানীর নগর ভবন মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আগামী ৭ মার্চ আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জাতির উদ্দেশ্যে এই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী যে কথা বলেছে তাতে বিএনপির স্বরূপ উম্মোচিত হয়েছে। তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, কিলিং গ্রুপের সদস্য। হামলাকারী টার্গেট কিলিং গ্রুপের সদস্য বলে উল্লেখ করে কাদের আরো বলেন, আর সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক দল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেন।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই তার নিবন্ধে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল আমাদের জন্য গ্রিন সিগন্যাল। আর সেই দল ৭ মার্চের ভাষনকে সম্মান ও পালন করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল। এ ভাষন বাজানোর অপরাধে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রমান্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত করেছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আর তাই আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। জনসভাকে সফল করতে তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।