মৃত নুরু মিয়ার সহকর্মী জাহিদ জানান, যাত্রাবাড়ী ধলপুর সুতিখালপাড় এলাকায় রহমানিয়া অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন তারা। সকাল ৮টার দিকে কারখানায় বিদ্যুতের সুইচ চালু করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নুরু। অচেতন অবস্থায় নুরুকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৯টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সাইফুলের সহকর্মী মো. সবুজ জানান, সকাল ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী রসুরপুর ১ নম্বর গেট এলাকার একটি বাড়ির ৪ তলায় ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সাইফুল। অচেতন অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুলিস্তান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের এএসআই আবু রাশেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের উপর রাস্তা পারাপারের সময় হিমাচল পরিবহনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এটিএম হাসান শফিউল দুলু। হাসানকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন পথচারী শরিফুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থার বেলা সোয়া ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত হাসান ওয়ারীর নবাবপুর পোস্ট অফিস এলাকার সামছুল হকের ছেলে। হাসান জীবন বীমার সেলস অফিসে হিসাব রক্ষকের চাকরি করতেন। এএসআই আবু রাশেদ আরো জানান, ঘাতক হিমাচল পরিবহনের চালককে আটক করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন খান বলেন, মৃত পারভিন রুনা বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করতেন। পরিবারের সদস্যরা পারভীনকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরার নব জাগরন নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করান। গত রোববার রাত ১টার দিকে ওই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পঞ্চমতলা থেকে পালানোর উদ্দেশে বিছানার চাদর দিয়ে বেয়ে নিচে নামার সময় পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃত পারভিনের ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহত রুবিনা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বরচড় গ্রামের মৃত আ. জব্বারের স্ত্রী।
মৃত বাবুর সহকর্মী জাহিদুল ইসলাম জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের একটি চারতলার ভবনের বাইরের দিকে ঝুলন্ত মইয়ে দিয়ে দেওয়াল রঙয়ের কাজ করছিলেন বাবু। এ সময় অসাবধানবশত হঠাৎ মই থেকে নিচে পড়ে যান বাবু। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিমানবন্দর থানার এসআই শ্রীদাম চন্দ্র রায় জানান, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দর গোলচত্বরে কোনও একটি যানবাহনের ধাক্কায় আহত অবস্থায় পড়ে ছিলো ওই অজ্ঞাত পরিচয় নারী। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওখানে অবস্থার তার অবনতি হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১২ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই শ্রীদাম চন্দ্র রায় আরো জানান, মৃত ওই নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে বলে জানা গেছে।