দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বিচার হবে
বিএনপি সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগের শাসনামলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকার তো শেষ সরকার না, তাদের একদিন বিদায় নিতে হবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেয়ার বাজার লুট, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনিসহ সংবাদপত্রে যেসব দুর্নীতির খবর বের হয়েছে এবং যত দুর্নীতি হয়েছে; তার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।’
‘সেই শ্বেতপত্রে এই সরকারের মন্ত্রী, এমপি, মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী, কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের হিসাব নেওয়া হবে। সেদিন অবশ্যই তাদের বিচার হবে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’ (এনপিপি)।
মওদুদ বলেন, বর্তমান সরকার সব খাত থেকে দুর্নীতি করছে এবং এটি মহামারী পর্যায়ে চলে গেছে। তারা জনগণের টাকায় বড় বড় প্রকল্প করছে, কিন্তু সেখানে কোনো জবাবদিহি নেই, কোনো রকমের কোনো মনিটরিং নেই। কারণ মনিটরিং না থাকলে যত বড় বড় প্রকল্প তত বেশি দুর্নীতি করা যায়।
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘যত কৌশল, যত ষড়যন্ত্রই করেন না কেন, খালেদা জিয়া জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং মুক্ত হয়ে তার জনপ্রিয়তা জেলে যাওয়ার আগে যা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ হবে বলে আমি মনে করি।’
নির্বাচনের আগে ডিজিটাল প্রচার বিধিমালায় সংশোধনী আনতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অক্ষম।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। আর যে দলের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে সেই দলের নেত্রী জেলখানায়, তার দল কোনো সভা সমাবেশ করতে পারেন না। কী চমৎকার গণতন্ত্রের দেশ!’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।
রাইজিংবিডি/