শনিবার খুলনা আসছেন প্রধানমন্ত্রী, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার (৩ মার্চ) খুলনায় আসছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
খুলনা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। এরই মধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের কাছে গুরুত্ব বহন করছে। খুলনাবাসী এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করা হবে। উন্নয়ন কমিটি আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নগরী জুড়ে নির্মিত হয়েছে অনেক তোরণ। ফেস্টুন আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে সড়কগুলো। কেসিসি, ওয়াসা ও সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সস্কার ও সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে নির্মিত হয়েছে ১১০ ফুট নৌকা মঞ্চ।
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভা, সমাবেশ আর আনন্দ মিছিল ও র্যালি করছে। পাশাপাশি ১৪ দলভুক্ত অন্য রাজনৈতিক দলসমূহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগর জুড়ে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান জানান, শনিবার বেলা ১১টায় খালিশপুর ঈদগাহ ময়দানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে ৪৮টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫১টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ কার্যক্রম শেষে প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ১৫ দিন ধরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডে প্রচার ও শুভেচ্ছা মিছিল করছে। সার্কিট হাউস ময়দানে নৌকা আকৃতিতে বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে খুলনাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শনিবার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আগত অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য সাড়ে তিন হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’ তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকে সার্কিট হাউস ময়দানের আশেপাশে সাদা পোশাকে পুলিশ এবং মঞ্চের আশেপাশে সশস্ত্র পুলিশ পাহারায় রয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব পেট্রোল ডিউটিতে নেমেছে। খালিশপুর ঈদগাহ ময়দান থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত ৮০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জনসভা স্থলেই ৩২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জনসভা স্থলে ২০০ নারী পুলিশ নিরাপত্তায় থাকবে। মাঠে মেটাল ডিরেক্টর এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করবে।’