জেরুজালেম ইস্যুতে ওআইসির দৃঢ় অবস্থান চাইলেন রাষ্ট্রপতি
নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জেরুজালেম ইস্যুতে ওআইসি নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রেক্ষাপটে একটি সমন্বিত জবাবের সিদ্ধান্ত নিতে ওআইসির জরুরি সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
মুসলিম দেশগুলোর বৃহত্তম সংগঠন ওআইসির জরুরি সম্মেলন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ষষ্ঠ বিশেষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই বৈরী পদক্ষেপে ওআইসি দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের অবশ্যই আল কুদস (জেরুজালেম) বিষয়ে এ পর্যন্ত গৃহীত ওআইসির বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে নিবিষ্টভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ‘এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই জোরালো বার্তা পৌঁছে দেবে যে আমরা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের লড়াইয়ে তাদের পেছনে ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ এবং আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন ও শক্তি জোগাব।’
আরও : শাকিব খানের নায়িকা হবার প্রস্তাব এসেছে বলো শোনা যায়? প্রশ্নের জবাবে যা বললেন দিঘি…
ওআইসির বর্তমান চেয়ার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মুসলিম দেশগুলোকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে মন্তব্য করার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর এক সপ্তাহ পর ইস্তাম্বুলে ওআইসির এ বিশেষ সম্মেলনে ৫০টির বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীরা যোগ দেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে জনগণ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের কথিত রাজধানী হিসেবে মার্কিন ঘোষণার বিপক্ষে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত আরব-ইসরায়েল শান্তিপ্রক্রিয়ার সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে হ্রাস করেছে। রাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে ইসরায়েলের গৃহীত নীতি-কৌশল ও পদক্ষেপগুলো বাতিলের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশেষ করে ওআইসির তাৎক্ষণিক ও সক্রিয় সম্পৃক্ততা কামনা করেন।-বাসস