বলিউডের ভৌতিক ছবি মানে ভরপুর যৌনতা
মুম্বাই প্রতিনিধি : বলিউডে নিম্নমানের ভৌতিক ছবি বানানো হয়। এখানে ভূতের ছবিতে সস্তা কমেডি কিংবা যৌনতা জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই বলিউডের ভৌতিক ছবি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে একহাত নিলেন দক্ষিণের ছবির ‘চকোলেট হিরো’ সিদ্ধার্থ।
দক্ষিণের ছবির নায়ক সিদ্ধার্থ এবার নিজে ভৌতিক ছবি প্রযোজনা করেছেন। ছবির নাম ‘দ্য হাউস নেক্সট ডোর’। মুক্তির আগে ‘রং দে বাসন্তি’ ছবির এই তারকা সিদ্ধার্থ রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বলিউডের ভৌতিক ছবির নির্মাতাদের। এই তারকা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বলিউড ভূতের ছবি বানাতে জানে না। বলিউডের ভৌতিক ছবি মানে ভরপুর যৌনতা। নয়তো দর্শককে জোর করে হাসানো। সেই অভাববোধ থেকে নিয়ে আসছি ছবিটি।’
ভৌতিক ছবির নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম রাম গোপাল ভার্মা সম্পর্কে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘রাম গোপাল শুরুর দিকে ভালো মানের ভূতের ছবি বানাতেন। তাঁর পরিচালিত “রাত” ও “ভূত” ছবি দুটি আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছে। কিন্তু এখন সেই মানের ছবি আর কেউ বানায় না। সত্যি বলতে, বলিউডে ভূতের ছবিতে ভয় কম থাকে। ভূতের ছবি নিয়ে মজা করা হয়।’
আপনি কি ভূতে বিশ্বাসী? দক্ষিণের এই সুপারস্টার বলেন, ‘আগে বিশ্বাস করতাম না। এই ছবিটা বানানোর পর এখন বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছি। আর মজার ব্যাপার, অবিশ্বাসীকে বিশ্বাসী হতে কয়েক মুহূর্ত লাগে, কিন্তু সারা জীবনেও একজন বিশ্বাসীকে অবিশ্বাসী করে তোলা যায় না।’
আরও : পিকআপ উল্টে নীলফামারীতে নিহত ১২
হঠাৎ ভূতের ছবি কেন প্রযোজনা করলেন? সিদ্ধার্থ স্মিত হেসে বলেন, ‘মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে। এমনকি আমিও ভূতের ছবি দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। ছোটবেলা থেকে ভয়ের ছবি দেখতাম। আর বলিউডের ভূতেরা মানুষকে ভয় দেখাতে পারে না।’
‘চশমে বদ্দুর’ ছবির এই নায়কের দাবি, তিনি অন্য ঘরানার ভূতের ছবি উপহার দিতে চলেছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। সিদ্ধার্থ বলেন, ‘সম্পূর্ণ হলিউডের ধাঁচে আমি “দ্য হাউস নেক্সট ডোর” ছবিটি বানিয়েছি। এই ছবিতে প্রযুক্তি, সাউন্ড, মেকআপ—সব ক্ষেত্রেই দর্শক নতুনত্ব পাবেন। এর পেছনে প্রচুর গবেষণা ও পরিশ্রম আছে। ভূতদের প্রসাধনের জন্য প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নিয়েছি। আমি আমার মনের মতো করে ছবিটি বানাতে পেরেছি।’
‘রং দে বাসন্তি’ ছবি রিমেক হলে পরিচালক হিসেবে সিদ্ধার্থ কাকে নির্বাচন করবেন? সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আমি রিমেকে বিশ্বাসী নই। আর “রং দে বাসন্তি”র মতো ছবি রিমেক করার সাহস আমার নেই। এই ছবি এমন উচ্চ পর্যায়ের, যা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।’
‘রং দে বাসন্তী’ ছবিকে ঘিরে কিছু স্মৃতি প্রসঙ্গে প্রযোজক-নায়ক-গায়ক সিদ্ধার্থ বলেন, ‘অনেক স্মৃতি আছে। আমির খান আর ছবির পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার কাছ থেকে তখন অনেক কিছু শিখেছি, যা এখন কাজে লাগছে। ১২ বছর পর আবার আমি আর অতুল কুলকার্নি একসঙ্গে কাজ করেছি।’
সিদ্ধার্থ অভিনীত ও প্রযোজিত ‘দ্য হাউস নেক্সট ডোর’ ছবি এর মধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। এই ছবির অন্য প্রধান চরিত্রে আছেন অতুল কুলকার্নি, অ্যানড্রিয়া জেরেমিয়া ও আনিশা ভিক্টর। প্রথম আলো