‘প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
তিনি বিশেষায়িত ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে জীবন গঠনে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
স্পিকার আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ. কে সুর।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ-দৌলা, ইস্টার্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউসার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফুজা চৌধুরী বাবলী।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ৩২৫জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষাথীদের আগামী ৪ বছর প্রতি মাসে ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে দেয়া হবে। চলতি মাস থেকে এই বৃত্তির টাকা প্রদান করা হবে।
স্পিকার বলেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই জরুরি কিন্তু এর পাশাপাশি শিক্ষা জীবন শেষে পেশা নির্বাচনে কে কোথায় কাজ করতে চায় সেই লিঙ্কটা তৈরি করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
এ জন্য শিক্ষা শেষে বা শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেন কোন কর্পোরেট হাউজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটি করতে পারে এ জন্য তাদের বাস্তব প্রশিক্ষণের জন্য ইন্টার্ণশীপ গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিতে তিনি কর্পোরেট সেক্টরের প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কোন শিক্ষার্থী যাতে শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে না পড়ে এজন্য অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা যে মেধাবী ও প্রতিভার অধিকারী, তাদের জন্য যদি যথোপযুক্ত সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি করে দিতে পারি তাহলে তারা বিশ্বের যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে সেই প্রমান তারা অতীতেও রেখেছে ভবিষ্যতেও রাখবে। ’
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে যখন অন্তর্ভূক্তিমূলক গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে তখন তরুণ প্রজন্মের জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়সহ সকল পর্যায়ে যথোপযুক্ত সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও উচিত এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা, যাতে একজন শিক্ষার্থীও শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে না পড়েন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা যে শোষণমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, সেই সমাজে যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে, বিশেষ করে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা যেন সমসুযোগ তৈরি করে দিতে পারি। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রবৃদ্ধির ফল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দিতে সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।