ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের অভিবাসন ও শুল্ক কার্যক্রম ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে ও কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে সারা হবে; দর্শনা ও গেদে স্টেশনে সময় নষ্ট হবে না।
আগের দিন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘এন্ড টু এন্ড ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস সার্ভিস’ উদ্বোধন করেন। শুক্রবার সকালে সেটা দেখতে যান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।
সেখানে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেনের যাত্রা প্রান্ত ও গন্তব্য প্রান্তে শুল্ক ও অভিবাসন কার্যাদি সারা হবে। এতে সময় বাঁচবে, যাত্রীদের হয়রানিও কমবে।
বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে যৌথভাবে কলকাতার চিৎপুরে আন্তর্জাতিক রেল যাত্রী টার্মিনাসের উদ্বোধন এবং পতাকা দেখিয়ে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী যাত্রার সূচনা করেন।একইসঙ্গে শুক্রবার থেকে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের দুই প্রান্তে কাস্টমস্ ও ইমিগ্রেশন সেবা শুরুরও ঘোষণা দেন।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এর ফলে ঢাকা থেকে কলকাতায় ট্রেন ভ্রমণে তিন ঘণ্টার কাছাকাছি সময় বেঁচে যাবে।”
বৃহস্পতিবার ছাড়া মৈত্রী সপ্তাহে ছয় দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করছে।
মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও শুল্ক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।