g বাঞ্ছারামপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর অবস্হা আশংকাজনক | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ৩১শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১৬ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর অবস্হা আশংকাজনক

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ২৭, ২০১৭
news-image

---

ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোগীর পিতা ইরন মিয়া জানান, মাজেদা বেগম পেট ব্যথার কারণে ভর্তি হয় মাহবুবুর রহমান মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ভর্তির পর ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাপেনডিসাইডের ব্যথা নির্মূলে অপারেশন করেন সার্জন ডা. মো. আসাদুজ্জামান। রোগীকে এক সপ্তাহ ভর্তি রেখে রিলিজের পর বাড়িতে গেলে ফের পেটে ব্যথা ও পুঁজ-রক্তক্ষরণ হতে থাকলে ২য় দফায় সেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে তখন ডাক্তার না থাকায় ওটি (অপারেশন থিয়েটার) বয় মো. রুবেল রোগীর পেটে সেলাই করে যা আমি দূর থেকে দেখি। অভিযোগের সত্যতা জানতে গেলে রুবেল মুঠোফোনে জানায়, আমি স্ট্রিচ লাগিয়েছি। রোগীর স্বামী বলেন, নিরুপায় হয়ে আমি স্ত্রীকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালে সেই হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রামেই উঠে আসে যে পেটের ভিতরে উচ্ছিষ্ট কিছু আছে। এরপর অপারেশন করা হলে গজ-ব্যান্ডেজ বেরিয়ে আসে। সেখানকার নিউরোসার্জন ডা. এম এ মতিন বলেন, রোগীকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তার সবই ছিল ভুল।

 

অভিযোগ প্রসঙ্গে গতকাল বাঞ্ছারামপুরের মাহবুবুর রহমান হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আতিকুর রহমান বলেন, রোগী মাজেদা বেগমকে ১২ সেপ্টেম্বর ভর্তি করে অ্যাপেনডিসেকটমি অপারেশন করা হয়। আমরা স্ট্রিচ দেই। ১৮ অক্টোবর ফের ভর্তি হলে আলট্রাসনোগ্রামে নরমাল হলেও ইনফেকশন বেশি হওয়ায় ঢাকা রেফার করি।জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে ওটি বয়রা নিজেরাই ডাক্তার বনে যান। আর তার স্বীকার হলেন মাজেদা বেগম। ইনফেকশন বেশি হওয়ায় বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকাটাপন্ন। ঢাকা থেকে অসুস্থ মাজেদা মুঠোফোনে বলেন, আমি হাসপাতাল ও ওই ডাক্তারের বিচার চাই। আমি হয়তো মারা যাব, কিন্তু আপনারা জাতির সামনে হাসপাতালটির অনিয়মের কথা তুলে ধরেন আর যেন কোনো রোগীকে আমার মতো ভুল চিকিৎসার স্বীকার হতে না হয়। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ জাতীয় আরও খবর