দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছি, দেশে ফিরে ২৩ হাজির অভিযোগ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি আরবে নিয়ে হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে মর্ডান এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি এজেন্সি এবং মোয়াল্লেম শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। হজ শেষে দেশে ফিরে ২৩ হাজি এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, তাদের নিম্নমানের খাবার দেয়া হত। মোয়াল্লেম তাদের এক এজেন্সির নামে হজে পাঠিয়ে পরে আরেক এজেন্সির হাতে তুলে দেন। এছাড়া তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বাড়তি অর্থ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩ হাজির পক্ষে মো. মিজানুর রহমান ও শেখ শরীফুল ইসলাম নামে দুই হাজি এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, মোয়াল্লেম শফিকুল ইসলাম উন্নত বাসস্থান, মানসম্মত খাবার ও যানবাহনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা না করে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগকারীদের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা পাঁচ ভাই-বোন ও আত্মীয়সহ মোট আটজন মোয়াল্লেম শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে হজে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শফিকুল, যার কিছুই তিনি রাখেননি। বিমানে ওঠানো থেকে শুরু করে হজের শেষদিন পর্যন্ত আমরা দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছি।’
মিজানুর বলেন, শফিকুল তার নিজের হজ এজেন্সি মর্ডান এয়ার ইন্টারন্যাশনালের নামের এজিন্সির মাধ্যমে হজে নিলেও পরে সিয়াম ওভারসিজ নামের আরেক এজেন্সির কাছে আমাদের হস্তান্তর করে দেন। খাবার, যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিজেই দেখবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি তা দেখেননি।
আরেক ভুক্তভোগী শেখ শরীফুল ইসলাম জানান, মা-খালা ও আত্মীয়সহ তারা মোট পাঁচজন এবার হজে গিয়েছিলেন শফিকুলের মাধ্যমে। শফিকুল বেশ কয়েক বছর ধরেই হজে লোক পাঠানোর কাজ করে আসছেন বলে জানান তিনি।
‘আমাদের বলেছিল তিন তারকা হোটেলে রাখবে। তিন বেলা ব্যুফের খাবার পাওয়া যাবে। যাতাযাতের জন্য গাড়ি দেয়া হবে। অথচ আমাদের সাধারণ একটি বাড়িতে রেখেছে। অতি নিম্নমানের খাবার পলিথিনে করে দিয়ে যেত স্থানীয় ক্যাটারিংয়ের লোক। যাতায়াত করতে হয়েছে নিজেদের খরচে’-বলেন শেখ শরীফুল ইসলাম।
শরীফুল বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে তাদের দলের ২৩ জনই পেটের পীড়ায় ভুগেছেন। হাসপাতালেও যেতে হয়েছে কয়েকজনকে।