এমবিবিএসে ৫ নম্বর কাটা: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

---
আদালত প্রতিবেদক : চলতি ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩ অক্টোবর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পাঁচ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রথম বর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) আহ্বান করে গত ২১ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৭ আগস্ট রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত হওয়ায় এবারের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটা যাবে না।
রিট আবেদনকারীর যুক্তি, ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০–এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যকৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ফলে আগের বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এ ছাড়া ওই সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের বিএমডিসি আইনের ৫(৫) ধারার পরিপন্থী।