৬ দিন পর গতি হল প্রবাসে মৃত্যুবরন কারী সেলিমের ! ময়না তদন্তের নির্দেশ
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল টিঘর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর মরদেহে অবশেষে ৬ দিন পর গতি হলো। বাড়ির আঙ্গীনায় দীর্ঘ সময় মরদেহ থাকার পর বুধবার আদালতের আদেশে পূনঃ ময়না তদন্ত ও সুরতাহাল করার নির্দেশ দেয়া হয়। মৃতের কন্যা শিল্পী বেগম (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আদালতে তার পিতার মরদেহ ময়না তদন্তের আবেদন করেন। এর পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সরাইল থানাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করে। দুপুরেই তার সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা জানিয়েছেন, সুরতহালে মালয়েশীয় থেকে হেলেন মিয়া ওরফে সেলিম মিয়ার চিকিৎসার আলামত পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই তা পরিষ্কার হওয়া যাবে। সরাইল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেছেন, দুপুৃরে তিনি সরেজমিন টিঘর গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, মালয়েশীয়ার চিকিৎসা করা কালীন সময়ের যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।
গত ৩১ আগষ্ট মালয়েশিয়ার তার মৃত্যু হয়। ৮ সেপ্টেম্বর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসে। তার স্বজনরা লাশ দাফনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। মরদেহের গোসল, কাফন কাপড় পরিধান ও কবর খাঁড়া হয়। তার পর ও টানা ৬ দিন ধরে মরদেহ মাটির উপর রাখা হয়। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইলের টি ঘর গ্রামে সৃষ্ট এ ঘটনায় সবখানে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মরদেহ পরিবহন খরচ মেটাতে না পারায় দাফন করা যায় নি। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক বার শালিস বসে। কিন্তু টাকার কোন সুৃরাহা না হওয়ায় মরদেহ দাফন করা সম্ভব হয় নি। মালয়েশিয়া থেকে তার প্রতিবেশী করম আলী মরদেহ দাফনের আগে বিদেশ থেকে মরদেহ পরিবহন খাতে খরচ হওয়া ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করতে বলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে মুঠোফেনে টাকা পরিশোধের পর মরদেহ দাফন করতে বলে। এতে বিপাকে পরে প্রবাসীর পরিবার। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় মরদেহ নিয়ে অপেক্ষার পর বুধবার আদালতে পূন ময়না তদন্তের আবেদন করে।