মৃত্যুর ৪ দিন পর দাফন তবুও উঠাতে হবে মরদেহ
---
চার দিন পর দাফন হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার টিঘর গ্রামের সেলিম মিয়ার মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য এবার কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে পুলিশ মরদেহ উত্তোলন করবে বলে জানিয়েছেন সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা।
মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করা সেলিম মিয়ার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে খরচ হওয়া তিন লাখ টাকা পরিশোধ না করার কারণে চারদিন ধরে মরদেহ দাফন করতে পারেনি পরিবার। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার রাতে মরদেহ দাফন করা হয়।
ওসি রূপক কুমার সাহা জানান, মঙ্গলবার রাতে মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে আবার উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরাইল উপজেলার টিঘর গ্রামের চার সন্তানের জনক সেলিম মিয়া নয় বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। গত ৩১ আগস্ট সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর সেলিমের প্রতিবেশী করম আলীর মাধ্যমে তার মরদেহ দেশে আনা হয়। এতে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন করম আলী। খরচের পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মরদেহ দাফন করতে নিষেধ করা হয়। এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে।
সেলিম মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগম সাংবাদিকদের জানান, করম আলী ফোন করে জানিয়েছেন সেলিমের মরদেহ দেশে পাঠাতে তার তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে পরিশোধের পর মরদেহ দাফন করতে হবে। টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চারদিন বাড়ির আঙিনায় পড়েছিল সেলিমের মরদেহ।