g ফাঁস হলো রোহিঙ্গা সংকটের নেপথ্য কারণ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৯শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ফাঁস হলো রোহিঙ্গা সংকটের নেপথ্য কারণ

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মায়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গা সংকটে বিভিন্ন বিশ্লেষক জাতিগত সংঘাত কিংবা ধর্মীয় বিদ্বেষকে দায়ী করলেও সংকটের নেপথ্যে বহুমাত্রিক কারণ খুঁজে পেয়েছেন রুশ বিশ্লেষকরা। তাদের একজন দিমিত্রি মোসিয়াকভ।

তিনি ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ অব দ্য রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের সেন্টার ফর সাউথ ইস্ট এশিয়া-অস্ট্রেলিয়া-ওশেনিয়াবিষয়ক পরিচালক। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানকরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আরও উসকে দিচ্ছে।

মোসিয়াকভের মতে, রোহিঙ্গা সংকট অন্ততপক্ষে একটি ত্রিমাত্রিক ঘটনা। প্রথমত এটি চীনবিরোধী একটি খেলা। কারণ আরাকানে (রাখাইন রাজ্য) চীনের বিশাল বিনিয়োগ আছে। দ্বিতীয়ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মুসলিম উগ্রপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটি করা হচ্ছে। তৃতীয়ত আসিয়ানের মধ্যে অনৈক্য (মিয়ানমার এবং মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অনৈক্য) তৈরি করার প্রচেষ্টা এটি।

মোসিয়াকভের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করতে শতাব্দী ধরে চলা এ সংঘাতকে ব্যবহার করেছে আন্তর্জাতিক খেলুড়েরা। বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় হাউড্রোকার্বনের বিপুল রিজার্ভের দিকে দৃষ্টি রয়েছে তাদের। মোসিয়াকভ বলেন, ‘মিয়ানমারের সাবেক সেনাশাসক থান শুয়ের নামে প্রচুরসংখ্যক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। পাশাপাশি আরাকানের উপকূলীয় অঞ্চলে হাউড্রোকার্বন রয়েছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত।’

২০০৪ সালে রাখাইনে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি সম্পদের সন্ধান পাওয়ার পর সেখানে চীনের দৃষ্টি পড়ে। ২০১৩ সাল নাগাদ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ করে দেশটি।

এ পাইপলাইন মিয়ানমারের বন্দর শহর কিয়াউকফিউকে চীনের ইউনান প্রদেশের শহর কুনমিংকে যুক্ত করেছে। তেলের এ পাইপলাইনটির মাধ্যমে বেইজিং মালাক্কা প্রণালি হয়ে মিডল ইস্টার্ন ও আফ্রিকান তেল সরবরাহের সুযোগ পায় বেইজিং।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে গত ১৫ দিনে সে দেশ থেকে তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ পরিসংখ্যান লাফিয়ে দিনে প্রায় ২০ হাজার করে বাড়ছে।

জাতিসংঘ গতকাল শনিবার একথা বলেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, গত ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় দুই লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানান, আগে হিসেবে ধরা হয়নি এমন কয়েকটি গ্রাম ও এলাকাতেও সংস্থা আরো অনেক রোহিঙ্গাকে পেয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭৮ কিলোমিটার (যার এক-চতুর্থাংশ জুড়ে রয়েছে নাফ নদী) বিস্তৃত সীমান্ত দিয়ে পায়ে হেঁটে বা নৌকায় করে আসছে।

জাতিসংঘ জানায়, গত বুধবার থেকে রোহিঙ্গা আসার সংখ্যা হুট করে খুব বেড়ে যায়। এদিন তিনশর বেশি নৌকা বাংলাদেশে এসেছে।

এ জাতীয় আরও খবর