শেষ বিকেলে উজ্জ্বল বাংলাদেশ
---
স্পোর্টস ডেস্ক : জন্মদিনে দারুণভাবেই জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তুলে নিলেন ২ উইকেট। স্পিনারদের দাপটের সিরিজে বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তি হয়েই রইলেন এই বাঁ হাতি পেসার। মেহেদী হাসান মিরাজও কম যান না। নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজ-মিরাজে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশ শেষ করেছে স্বস্তি নিয়েই। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩৭৭ রান তুলেছে ৯ উইকেট হারিয়ে। লিড ৭২ রানের। কাল চতুর্থ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ চাইবে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিতে। লিডটাকে ১০০ রানের নিচে রাখতে পারাটা হবে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক জয়।
সকালের সেশনটা মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টির দাপটে। ২ উইকেটে ২২৫ রান করে বাংলাদেশের সংগ্রহের চেয়ে ৮০ রান পেছনে থাকা অস্ট্রেলিয়া আজকের শুরুটাও মন্দ করেনি। ভালোই খেলছিলেন আগের দিন যথাক্রমে ৮৮ ও ৬৯ রানে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ১৫২ রানের জুটিটা যখন বাংলাদেশের জন্য বড় চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে, ঠিক তখনই সাকিব আল হাসানের দারুণ একটা থ্রো স্বস্তি ফেরায় বাংলাদেশ শিবিরে।
সাকিবের সেই থ্রোতে ভাঙে জুটি। ১৪৪ বলে ৮২ রান করা হ্যান্ডসকম্ব নেন বিদায়। সঙ্গী হারিয়ে অবশ্য থেমে থাকেননি ওয়ার্নার। নিজের ২০তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি ঠিকই তুলে নেন।
ওয়ার্নারের ১২৩ রানের ইনিংসটি থামান মোস্তাফিজই। তাঁর বলে লেগ স্লিপে অনেক কসরত করে অস্ট্রেলীয় ওপেনারের ক্যাচটি ধরেন ইমরুল কায়েস। ওয়ার্নারের এই ইনিংসটি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। কিন্তু সেটি হলে কী হবে, স্থিতধী এই ইনিংসটি অস্ট্রেলীয় ইনিংসের ভিত্তি হয়েই আছে।
নির্দিষ্ট করে বললে ওয়ার্নার-হ্যান্ডসকম্বের জুটিটিই ছিল অস্ট্রেলীয় ইনিংসের প্রাণ। এই দুই ব্যাটসম্যানের একজনকে ফেরাতে পারলে ম্যাচটা আবার নিজেদের দিকে চলে আসবে, এমন বিশ্বাস বাংলাদেশ দলের ছিল গতকালই। সেটিই হয়েছে। ওয়ার্নার-হ্যান্ডসকম্বের পর বাকিরা বেশি কিছু করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে প্রথমে স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন হিলটন কার্টরাইট (১৮)। এরপর মোস্তাফিজ ম্যাথু ওয়েডকে এলবিডব্লু করে নিজের তৃতীয় শিকারটি তুলে নেন। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মিরাজের বলে আউট ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট। তৃতীয় দিনে এখনো পর্যন্ত যতক্ষণ খেলা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ নিজেদের সফল দাবি করতেই পারে।
১৮ রানের মধ্যেই মিরাজের বলে এলবির শিকার প্যাট কামিন্স। এরপর সাকিবের বলে বোল্ড হয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার (২২)। ৯ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়ার লিডটা নাগালের মধ্যই রাখতে (এক শর কম)। সেটি কি সম্ভব? দেখাই যাক না!