g হানিপ্রীতকে খুঁজছে পুলিশ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২২শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

হানিপ্রীতকে খুঁজছে পুলিশ

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধর্ষণের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসানকে খুঁজছে পুলিশ। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

প্রায় ১৫ বছর আগে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলার ঘটনায় সোমবার ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রাম রহিমকে। তার সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় আসে হানিপ্রীতের নামও। গুরুমিতের সঙ্গে তার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।

‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’ নামেই পরিচিত রাম রহিমের কন্যা হানি। নামেই ‘মেয়ে’। বস্তুত, ডেরা সাচা সওদার সদস্যরা জানেন, তিনি আসলে রাম রহিমের সর্বক্ষণের সঙ্গিনী। রাতেও ‘বাবা’র গোপন কক্ষে তার অবাধ যাতায়াত। এমনকি, জেলে বসেও গুরমিত রাম রহিমের দাবি, তার কাছে আসতে দেওয়া হোক হানিপ্রীতকে।

সংবাদ প্রতিদিন বলছে, জেলে নাকি রাম রহিম সিং ভারী অসুস্থ। আর হানিই নাকি জানেন কীভাবে কোন ওষুধ দিলে ঠিক থাকবেন ডেরা সাচা সওদা প্রধান।

বছর কয়েক আগে এই হানিপ্রীতকে দত্তক নেন রাম রহিম। হানিপ্রীতের স্বামী ক’দিন আগেই অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে তার কাছে থাকতে দিত না রাম রহিম। হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবাধ যৌনাচার নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।

তিনি বলেন, ডেরা প্রধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় হানিপ্রীতকে দেখে ফেলছেন সিরসায়। পুরো বিষয়টিকে সকলের চোখের আড়ালে রাখতেই হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার নাটক করেছিলেন ডেরা সাচা প্রধান।

এনডিটিভি বলছে, এখন ঠিক কোথায় রয়েছেন হানিপ্রীত তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাম রহিম যেখানে বন্দি রয়েছেন, সেই রোহতক জেলের কাছেই ডেরার এক সদস্যের বাড়িতে রয়েছেন হানি।

পঞ্চকুলার আদালত থেকে গুরমিতকে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় তার সঙ্গে কেন হানিপ্রীত ছিলেন, সেটা জানতে এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে হরিয়ানা পুলিশ।

২০০২ সালে রাম রহিমের সাবেক অনুসারী এক নারী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই নারীর অভিযোগ, হরিয়ানার শহর সিরসায় ডেরা সাচা সৌদা গোষ্ঠীর প্রধান কার্যালয়ে রাম রহিম তার ওপর যৌন নির্যাতন করেন। এ মামলার পর রাম রহিমের অজস্র অনুসারী ক্ষোভে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিলেন।

১০ বছর ধরে প্রায় দুইশ’ শুনানির পর মামলার রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার উচ্চ আদালত এ মামলার বিচারকাজে স্থগিতাদেশ দেন।

এমডি/মানিক

এ জাতীয় আরও খবর