g ২২ বছর যাবত নর্দমায় বসবাস করছেন এই দম্পতি! (দেখুন ছবিতে) | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ৬ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২২শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

২২ বছর যাবত নর্দমায় বসবাস করছেন এই দম্পতি! (দেখুন ছবিতে)

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৩, ২০১৭

---

শখ আর সাধ্যের মধ্যে যতোই পার্থক্য থাকুক না কেনো, সকলেই চায় নিজের মত করে ছোট একটা নিজের ঘর করতে যেখানে সে নিজে তার প্রিয় মানুষটার সাথে সুখ-দুঃখের সময়গুলো একসাথে পার করতে পারবে। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই শখ এবং সাধ্য ব্যপারটা ভিন্ন একটা মাত্রায় এসে দাঁড়ায়। প্রিয়.কম আজকে আপনাদের এমনই এক অদ্ভূত যুগলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে যাদের বসবাস প্রায় দুই যুগের সময় ধরে নর্দমার ভেতরে! জ্বি আপনি ঠিকই পড়েছেন। টানা ২২ বছর ধরে এক নর্দমার ভেতরে নিজেদের ঘর সংসার পেতে খুব সুখে শান্তিতে বাস করে চলেছেন এই যুগল।

ছবি ১

মারিয়া গার্সিয়া এবং তার স্বামী মিগুয়েল রেস্ট্রেপো উভয়েই ছিলেন ড্রাগ এডিক্টেড। কলম্বিয়ার মেডেলিন রোডে ঠিক ২২ বছর আগেই একে অপরের সাথে তাদের দেখা হয়। আর শুরুটা ঠিক এখান থেকেই।

ছবি ২

তাদের একসাথে দেখা এবং পরিচয় হবার পর থেকেই দুজনেই ড্রাগ নেওয়া বন্ধ করে দেন একে অপরকে সাহস এবং শক্তি দেওয়ার জন্য। এরপরে একসাথে কোথাও বসবাস করার জন্য তারা একটি পরিত্যাক্ত নর্দমা খুঁজে পান এবং সেটাকেই নিজেদের বাসা বানিয়ে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। নর্দমাটি ৬৫ স্কয়ার ফিট চওড়া এবং প্রায় সাড়ে চার ফুট উঁচু। যার কারণে একদম পিঠ সোজা করে হাঁটাচলা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না এখানে।

ছবি ৩

যদিও তারা খুব অদ্ভূত এবং পরিত্যাক্ত জায়গায় থাকেন তারা তাদের নিজেদের থাকার জায়গাটাকে প্রয়োজনীয় এবং সুন্দর কিছু আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছেন নিজেদের মতো করে। জিনিসপত্র রাখার জন্য কাপবোর্ড, বিনোদনের জন্যে টিভি, ঘুমানোর জন্য বিছানা এবং রান্না করার জন্য চুলা। ওহ, গরম আবহাওয়াতে যেন কষ্ট না হয় সে জন্য ফ্যানও আছে!

ছবি ৪

অনেককিছু গুছিয়ে নিলেও কিছু সমস্যা থেকেই যায়। যেমন, গোসলের জন্যে তাদের পানি আনতে হয় বাইরে থেকে। আর বৃষ্টির সময়ে পলিথিন ব্যবহার করেন বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচার জন্য।

ছবি ৫

মিগুয়েলের লাংস এর সমস্যার কারণে কিছুদিন আগে তাকে চাকরি ছাড়তে হয়। তবে তাতে করে খুব সমস্যাতে তাদের পড়তে হয়নি। প্রতিবেশীরা সকলেই সাহায্য করে এবং মিগুয়েল নিজেও রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে কিছু উপার্জন করে থাকেন। 

ছবি ৬

সবকিছু শুনে মনে হতে পারে যে তারা হয়তো খুব স্বাছন্দ্যে আছেন। তবে পরিস্থিতি সবসময় এক রকম থাকে না। কোন কোন দিন তাদের না খেয়েই ঘুমিয়ে যেতে হয় বিভিন্ন টানাপোড়েন এর জন্য। এমন কঠিন সময় এর মাঝেও কিন্তু তারা দুজনে তাদের জীবনের আনন্দ ঠিকই খুঁজে নিয়েছেন। মিগুয়েল এবং মার্সিয়েল দুজনে মিলেই তাদের নর্দমার কাছেই বানিয়ে নিয়েছেন সুন্দর ছোট্ট এক বাগান এবং নিজেদের জন্য ক্রিসমাস ট্রি।

ছবি ৭

কোন কোন সময়ে তারা হয়তো বিরক্ত হয়ে যান, যেহেতু তাদের থাকার জায়গাটি খুবই অস্বস্তিদায়ক। কিন্তু তবুও তারা দুজনেই নিজেদেরকে পরিস্তিতির সাথে মানিয়ে নিয়েছেন এবং একে অপরের সাথে সুখেই আছেন।

সূত্র: আননোন ফ্যাক্টস