g পুনরায় ‘না ভোট’ চালুর দাবি নির্বাচন বিশ্লেষকদের | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ৬ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২২শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পুনরায় ‘না ভোট’ চালুর দাবি নির্বাচন বিশ্লেষকদের

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৩, ২০১৭

---

জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় না ভোটের সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে প্রার্থী পছন্দ না হলে ভোটাররা না ভোট দিতে পারবেন। অন্যদিকে দলগুলোর দেয়া প্রার্থী ভোটারদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তাও স্পষ্ট হবে। বিশ্লেষকদের মতে তখন দলগুলো ভালো প্রার্থী নির্বাচনে আরো বেশি মনোযোগী হবে ।

কোন প্রার্থীকেই পছন্দ না হলে জনগনের জন্যে বিশেষ সুযোগ হচ্ছে ‘না ভোট’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, যার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮২ কোটি। বিশ্বের ১৪তম দেশ হিসেবে সব শেষ ভারতের ব্যালটে না ভোটের যায়গা হয়েছে।
বাংলাদেশেও ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘না ভোট’ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ‘না ভোট’ বাতিল করে। ভারতে এ সুযোগ তৈরি হওয়ায় এখন বাংলাদেশে আবারও এ সুযোগ ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে ।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতেই ‘না ভোট’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগনের মতামত না নিয়েই প্রার্থী চুড়ান্ত করে আসছে। যার ফলে অনেক কম যোগ্যতা সম্পন্ন লোকও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবার সুযোগ পাচ্ছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমি যদি ভোট দিতে গিয়ে দেখি কোন ক্যান্ডিডেট আমার পছন্দ না তখন আমার উপায়টা কি হবে? তাহলে আমাকে সেখানে ভোট না দিয়েই চলে আসতে হবে! অনেক ক্যান্ডিডেট আছে যারা সংসদে যাওয়ার উপযুক্ত না। তাদের কোন যোগ্যতা নাই, বা তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তখন করণীয় কি হবে? এ জন্যেই না ভোট।

ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, চিলি, ইউক্রেন, কলোম্বিয়া ও সুইডেনের নির্বাচনে না ভোট দেয়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশেই একমাত্র না ভোট চালুর পরেও তা বাতিল করা হয়।

সূত্র : নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভি

এ জাতীয় আরও খবর